নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের প্রোফাইল পিকচার লাল রঙের করেছেন। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাতে পৌনে ৯টার দিতে দিকে তার ফেসবুক পেজে লাল রঙের প্রোফাইল পিকচার দেওয়া হয়। 

কোটা সংস্কার আন্দেোলনে নিহতদের স্মরণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গত ৩০ জুলাই সবার প্রোফাইল পিকচার লাল রঙের করার আহ্বান জানায়। একই দিন সারাদেশে শোক ঘোষণা করে সরকার। সরকার জনসাধারণকে কালো ব্যাজ ধারণ করার আহ্বান জানায়।

তবে ওইদিন ফেসবুক জুড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের লাখো মানুষ নিজেদের প্রোফাইল পিকচার লাল করতে দেকা যায়। এর মধ্যে দেশের অনেক প্রতিথযশা ব্যক্তি, তারকারাও ছিলেন। সেদিন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে থাকা ভ্যারিফায়েড পেজের প্রোফাইল পিকচারও লাল করা হয়।

অনেকে আবার প্রোফাইলে লাল ছবি দেওয়ার পাশাপাশি চোখে ও মুখে লাল কাপড় বেঁধে একক ও দলীয় ছবিও দিয়েছেন। 

লাল কাপড় বাঁধার কারণ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, সরকার দেশব্যাপী গণহত্যা চালিয়ে তারপর ছাত্রদের আন্দোলনকে ‘সহিংসতা’ হিসেবে উল্লেখ করে নিহতদের স্মরণে শোক দিবস ঘোষণা করে নিহত শহীদদের সঙ্গে তামাশা করেছে। এর প্রতিবাদে আমরা তাদের কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচিকে বয়কট করেছি। এখনো তাদের হাতে রক্ত লেগে আছে। তাই আমাদের কর্মসূচি লাল কাপড় মুখ ও চোখে বেঁধে অনলাইন ক্যাম্পেইন করা।

এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং সহিংসতা নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এটি ছিল শিক্ষার্থীদের একটি আন্দোলন। কিন্তু এই আন্দোলন থামাতে সব বাহিনীকে ব্যবহার করেছে সরকার।

এছাড়া বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেরাতে আরেকটি নির্বাচন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থা ও ভারতের ভূমিকা রাখার বিষয়েও কথা বলেছেন ইউনূস। তিনি বলেছেন, তার চাওয়া হলো জাতিসংঘ ও অন্যান্য বিশ্ব নেতারা অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা বলুক এবং সমস্যা উত্তরণে চেষ্টা করুক।

সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, গুলি করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সরকারের শত্রুরা আন্দোলনে ঢুকে গেছে। এই দাবির ব্যাপারে ইউনূস বলেছেন, কারা শত্রু সেটি চিহ্নিত করা হোক এবং তাদের শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু শিক্ষার্থীদের হত্যা বন্ধ করতে হবে। যেমনটি একটি গণতান্ত্রিক দেশে হয়ে থাকে।

এসএম