কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী আদনান শরীফকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের বাকলিয়া ডিসি রোডের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, আদনান সরাসরি নাশকতায় সম্পৃক্ত। ভিডিও ফুটেজে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাকে পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হওয়া নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।

এদিকে আদনান শরীফ গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে চবি প্রশাসন তাকে ছাড়াতে তৎপর হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টর মিলে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে তাদেরকে জানানো হয়, নাশকতা কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় আদনানকে ছাড়া সম্ভব না। তবে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আশ্বস্ত করেছে, তারা নিরপরাধ কোনো শিক্ষার্থীকে হয়রানি করবে না।

পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তুোস চাকমা বলেন, গত ১৬ জুলাই মুরাদপুরে সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিও ফুটেজে আদনান শরীফকে দেখা গেছে। তিনি ঘটনায় জড়িত। এ জন্য তাকে পাঁচলাইশ থানার হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তবে আদনান শরীফের মা হোসনে আরা বলেন, রাতে পুলিশ বাসায় এসে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে তার আদনানকে নিয়ে যায়। যে ভিডিও দেখিয়ে আদনানকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, সেটি স্পষ্ট নয়, সেটি আদনানের ছবি নয়। ছেলেটা আমার অসুস্থ, সেটা বলার পরও পুলিশ ছাড়েনি।

চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদনান হাতে লাঠি নিয়ে হেলমেট পড়া কিছু লোকের মাঝে ছিল এবং তাকে আক্রমণাত্মক দেখা গেছে। এই ভিডিওটি তার বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে পুলিশ ব্যবহার করেছে। এরপরও আমরা তাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু প্রমাণ থাকায় সম্ভব হয়নি। 

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরপরাধ শিক্ষার্থীরা যাতে গ্রেপ্তার বা হয়রানির শিকার না হয় সেই বিষয়ে আমরা সজাগ রয়েছি। ইতোমধ্যে ৮ থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী ১৭ ও ১৮ তারিখের দিকে আটক হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। তাদেরকে জেলে পাঠানো হয়েছে। আটক শিক্ষার্থীদের পরিবার জামিনের বিষয়ে সাহায্য চাইলে চবি প্রশাসন তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করবে।

এমআর/এমএ