সদ্য বিদায়ী জুলাই মাসে মোট ২৫৫ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয় ৪৮ জন কন্যা শিশুসহ ৬৪ জন। তারমধ্যে ১৩ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়, ২ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় এবং ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করে ২ কন্যা শিশু। এছাড়াও কন্যা শিশুসহ ২০ জনকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর পাঠানো এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৬টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ১২৪ জন কন্যা শিশু এবং ১৩১ জন নারী নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঘটনার প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১৫ জন কন্যা শিশুসহ ১৮ জন নারী। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ৪ জন কন্যা শিশু। নারী ও কন্যা শিশু পাচারের ঘটনার শিকার ১ জন। ২ জন এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে। ৩ জন অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে, এর মধ্যে ১ জনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন কারণে ১ জন কন্যা শিশুসহ ৪২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৩ জন, এরমধ্যে ৯ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ জন কন্যাসহ ৯ জন। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২টি। ১ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ৭ জন কন্যা শিশুসহ ২২ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৭ জন কন্যা শিশুসহ ১৮ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, এরমধ্যে ৩ জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে। ৪ জন কন্যা শিশুসহ ৬ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। এছাড়াও ৩ জন কন্যাকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ৩টি এবং বাল্যবিবাহের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ৯ টি। ১ জন কন্যাসহ ২ জন সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছে। এছাড়া ৫ জন কন্যা শিশুসহ ১৩ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

এমএইচএন/এমএ