কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে গত ১৮ জুলাই থেকে বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ১৯ জুলাই কারফিউ জারি হলে পুরোপুরি বন্ধ হয় ট্রেন চলাচল। অবশেষে ১৩ দিন পর বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) থেকে সীমিত পরিসরে ট্রেন চালু হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেনডেন্ট (পূর্ব) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় কারফিউ শিথিল সময়ে কিছু কমিউটার ট্রেন পরিচালনা করা যাবে। এক্ষেত্রে কারফিউ শিথিল সময়ে চলাচলের জন্য বিরতি স্টেশন ঠিক রেখে গন্তব্য ও প্রারম্ভিক স্টেশনের সময়সূচি সমন্বয় করা যেতে পারে। এই সময়ে নির্ধারিত ট্রেন ছাড়া অন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে, তাই ক্রসিং জটিলতা থাকবে না। এছাড়া চলাচলরত ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রারম্ভিক স্টেশনে পৌঁছাবে।

ঢাকা থেকে যেসব ট্রেন যেসব সময়ে চলবে

কর্ণফুলী কমিউটার (৪) ঢাকা স্টেশন ছাড়বে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে; তিতাস কমিউটার (৩৪ ও ৩৬) ঢাকা ছাড়বে যথাক্রমে সকাল ১০টায় ও বিকাল সাড়ে ৫টায়; দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার (৪৭) ঢাকা ছাড়বে সকাল ৭টায়; জামালপুর কমিউটার (৫১) ঢাকা ছাড়বে দুপুর ৩টায়; তুরাগ কমিউটার (১ ও ৩) ঢাকা ছাড়বে যথাক্রমে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ও বিকাল ৫টায়; ৪টি সময়ে নারায়ণগঞ্জ কমিউটার ট্রেন ঢাকা ছাড়বে, সময়গুলো হচ্ছে— সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে, ৯টা ৩৫ মিনিটে, দুপুর ৩টায় ও বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে।

রেলওয়ের চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেনডেন্ট (পূর্ব) কার্যালয় জানিয়েছে, যেসব ট্রেনের শিডিউল কারফিউ শিথিলকালীন সময়ে কিংবা শিথিলকালীন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে সেসব লোকাল ট্রেনগুলোই চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ১ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এসব ট্রেন চালানো যেতে পারে। 

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তঃনগর ট্রেন এখনও বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সময়ে দূরপাল্লার ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরিস্থিতির পুরোপুরি উন্নতি না হলে আন্তঃনগর ট্রেন চালানো হবে না।

/এমএইচএন/এমএসএ