রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৩০ হাজার টাকা চুক্তিতে খুন করা হয় ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মো. কামাল হোসেনকে। হত্যার মাস্টারমাইন্ড মোহাম্মদপুর থানার শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজেল গাজীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা ১১টায় তেজগাঁও বিভাগের নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন উপ-পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক।

তিনি বলেন, ২৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে কাটাসুর এলাকায় লুডু খেলছিলেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন। হঠাৎ তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ঘটনার পর থেকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে আমাদের পুলিশ কাজ শুরু করে। ধারাবাহিকতায় কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারী সুজনকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্য এবং আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে অন্যান্য আসামিদের নাম পাওয়া যায়। 

তার তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর থানা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজেল গাজী (৪৫), ইকবাল হোসেন (২২), মো শাকিল (২৫), রাকিব (১৯) ও ইব্রাহিমকে (১৯) মোহাম্মদপুরে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যায় ব্যবহৃত তিনটি চাপাটি উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, ৩০ হাজার টাকা চুক্তিতে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করে তারা। কামাল হোসেন মোহাম্মদপুর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে জমি-প্লট-ফ্লাটের ব্যবসা করেন। ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ ও লেগুনা ব্যবসা নিয়ে কামালের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। 

হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড তাজেল গাজী ৩০ হাজার টাকা চুক্তিতে তাকে হত্যা করান। শ্রমিক লীগ নেতা তাজেল গাজীর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের সবার নামে এর আগেও একাধিক মামলা হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার পরপরই হত্যাকাণ্ডের মূল মাস্টারমাইন্ড তাজেল গাজী তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, ছোট ভাই কামাল হোসেনকে যারা হত্যা করেছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হোক।

অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায়, মোহাম্মদপুরের চার রাস্তার মোড় বেড়িবাঁধ এলাকার নিয়ন্ত্রণ করেন তাজেল গাজী। তার এই অপরাধের পৃষ্ঠপোষক ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ সরকার। তার ছত্রছায়ায় তাজেল গাজী সব অপকর্ম করেন। 

এসএএ/কেএ