দেশের ৯৯ শতাংশ গ্রাহক অব্যবহৃত ডাটার পরিবর্তে ৫ জিবি ইন্টারনেট ডাটা বোনাস থেকে ৫০০ এমবিও ব্যবহার করতে পারেননি। ইন্টারনেটের প্রচণ্ড ধীরগতির কারণে এমন সমস্যা হয়েছে। 

গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এমন দাবি এবং অভিযোগ করেছে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৯ জুলাই বিকেলে মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হয়। যদিও রাত আটটা পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ জেলাতেই ইন্টারনেট সচল হয়নি। আমরা দাবি জানিয়েছিলাম, মোবাইল ইন্টারনেট চালু হওয়ার সাথে সাথেই যেন গ্রাহক তার অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটা সচল করতে পারেন। কিন্তু বিটিআরসি গ্রাহকদের সাথে আলোচনা না করে প্রতিমন্ত্রীকে সাথে নিয়ে অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত দেয় প্রতিটি অপারেটর ৫ জিবি করে ইন্টারনেট ডাটা বোনাস দেবে। মান্থলি প্যাকেজ (৩০ দিনের) ব্যবহারকারী ছাড়া সাধারণ গ্রাহকদের বিকেল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত ৫ জিবি ইন্টারনেট ডাটা দেওয়া হয়েছে। যদিও টেলিটক এখনও গ্রাহকদের বোনাস দেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দুঃখের বিষয় হচ্ছে ইন্টারনেটে গতি ৫০ কেবিপিএস-এ নেমে আসে। সর্বোচ্চ গতি ছিল ৩ এমবিপিএস। ফলে ইন্টারনেট ডাটা খরচই করতে পারেননি গ্রাহকরা। গতকাল বোনাসের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ গ্রাহকের অব্যবহৃত রয়ে গেছে প্রায় চার থেকে সাড়ে ৪ জিবি ইন্টারনেট ডাটা।

বিবৃতিতে তিনি বেশকিছু দাবিও তুলে ধরেন। সেগুলো হচ্ছে -

১. ফোরজি গাইড লাইন অনুযায়ী সর্বনিম্ন গতি ২০ জিবিপিএস প্রদান করতে হবে।

২. গ্রাহকের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার করার সুযোগ দিতে হবে।

৩. ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জুলাই মাসের বিল ৫০ শতাংশ কম আদায় করতে হবে।

৪. সড়কে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মোবাইল তল্লাশি করার নামে সাধারণ গ্রাহকদেরকে হেনস্তা করা যাবে না।

যদি আগামী দুই দিনের মধ্যে এসব দাবি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে আগামী রোববার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি।

আরএইচটি/জেডএস