বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়াতে হবে। অকৃষিজ জমির সহজলভ্যতা, সূর্যের বিকিরণ হার ও  নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের মূল্য বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে অন্যতম প্রতিবন্ধক। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে পারলে কিছুটা সুফল পাওয়া যেতে পারে।

বুধবার (৩১ জুলাই) বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত ৫০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সোনাগাজী সোলার পাওয়ার ইউনিট লিমিটেডের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের বাস্তবায়ন চুক্তি ও বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি-বেসরকারি খাতে চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৪৭টি প্রকল্পে ৩৭৪৯ দশমিক ৭ মেগাওয়াট এবং প্রক্রিয়াধীন ৭৯টি প্রকল্পে ৯৩১৮.১৫ মেগাওয়াট অর্থাৎ ১২৬টি প্রাকল্পে ১৩০৬৭.২২ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলমান। এই প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অপরিহার্য। ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস হতে আট-দশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে আসবে। ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ ক্লিন এনার্জি এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন ইমিউশন করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তাছাড়া ২০ হাজার মেগাওয়াট সোলার হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।

জার্মানির কোম্পানি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ৫০ মেগাওয়াট সোনাগাজী সোলার পাওয়ার কোম্পানির চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষে যুগ্নসচিব নিরোধ চন্দ্র মন্ডল, পিডিবির পক্ষে, বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ সেলিম রেজা, পিজিসিবির পক্ষে, কোম্পানির সচিব মো. জাহাঙ্গীর আজাদ এবং সোনাগাজী সোলার পাওয়ার ইউনিট লিমিটেডের পক্ষে মোহাম্মদ মাহবুবুল হাসান চুক্তিতে সই করেন। ২০ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে প্রতি ইউনিটে বিদ্যুতের ক্রয় মূল্য ১০.৯৪ ডলার।

ওএফএ/কেএ