মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহতের আহ্বান ডিইউজের
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে দেশজুড়ে বিএনপি-জামায়াতের পরিকল্পিত নৈরাজ্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, বারবার রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়ে শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করার মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত যে নগ্ন খেলা শুরু করেছে, তা যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে। আন্দোলনের নামে সাংবাদিকদের ওপর হামলা আর জনগণের সম্পদ ভাঙচুর করে যারা ফায়দা লুটার ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠেছেন, তাদের অচিরেই আইনের আওতায় আনতে হবে। যারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতন চালাবে, তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৩১ জুলাই) কোটা আন্দোলনের নামে দেশজুড়ে নৈরাজ্য, শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করা ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। ডিইউজের আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কোটা সমন্বয়ে বা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যারা জড়িত, সেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই দেশ বা মানুষের জন্য ক্ষতিকর কোনো কিছু করতে পারেন না। এর সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত যুক্ত হয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। তারা ১৯৭১ সালের মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে আবার মেতে উঠেছে। তাদের সঙ্গে নামসর্বস্ব কিছু দল যুক্ত হয়ে মানুষের ভোগান্তি তৈরি করছে। শিক্ষার্থীদের ভুল পথে পরিচালিত করছে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য।
এসব দলের উগ্র কর্মীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী স্লোগান ও কার্যকলাপের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণকে বিভ্রান্ত করে চলেছে। এদের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শিক্ষার্থীদের সতর্ক থেকে নিজেদের দাবি আদায়ে রাজনৈতিক বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
নেতারা বলেন, ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত এই রাজনৈতিক গোষ্ঠীকে এখনই প্রতিহত করতে না পারলে পুরো দেশ একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়বে। তাই কোটা আন্দোলনের নামে যারা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। কোনোভাবেই এই গোষ্ঠীকে ছাড় দেওয়া যাবে না।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফরাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, বিএফইউজের যুব মহাসচিব শেখ মামুনুর রশিদ, ডিইউজের বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাবেক সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান মিঞা, কোষাধ্যক্ষ সোহেলী চৌধুরী, আইন সম্পাদক আসাদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, নারী বিষয়ক সম্পাদক সুমি খান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদ, সাবেক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, নির্বাহী পরিষদ সদস্য নাসরিন গীতি, সাজেদা হক, সুনীতি কুমার বিশ্বাস, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, সাংবাদিক আবু সাঈদ, মুহম্মদ আলম, সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক সুমন মোস্তফা, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক ইমরান হোসেন টুটুল, সাংবাদিক শাহজাহান সাজু।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী, ডিইউজের জনকল্যাণ সম্পাদক শাহজাহান স্বপন, নির্বাহী সদস্য রারজানা সুলতানা, বিএফইউজের দপ্তর সম্পাদক সেবিকা রানী, দৈনিক করতোয়ার ডেপুটি ইউনিট চিফ মিজানুর রহমান, আজকালের খবর ডেপুটি ইউনিট চিফ পলাশ চন্দ্র দাস, ড্যানিয়েল পিন্টু, ইউছুফ আলী বাচ্চু।
এআর/কেএ