ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

দেশের পর্যটনের সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের শহর কক্সবাজার। সাড়ে পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট আছে এখানে। এসব হোটেলে দিনে ধারণক্ষমতা দুই লাখের বেশি। দিনে লাখো পর্যটকের সমাগম থাকে ছুটির দিনগুলোয়। এখন সব হোটেল-মোটেল খালি পড়ে আছে। বিক্রি নেই তিন হাজারের বেশি দোকান ও পাঁচ শতাধিক রেস্তোরাঁয়। সৈকতের আশপাশে ভ্রাম্যমাণ দোকানপাটও বন্ধ হয়ে পড়েছে।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

পর্যটন খাতে বড় ধাক্কা

বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব), অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্সিজ অব বাংলাদেশ (আটাব), প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ, ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

আজকের পত্রিকা

সংকটেও ভ্যাট আদায়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধি

সংকটের মধ্যেও বিদায়ী অর্থবছরে ভ্যাট আদায়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আয়কর ও শুল্ক খাতে যেখানে রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ, সেখানে ভ্যাটের প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভ্যাট আদায়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে অর্থবছরের শেষ মাস জুনে। এ সময়ে ভ্যাট আদায়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ।

এনবিআরের তৈরি অর্থবছরের রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি-সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অর্থবছরে ৩ লাখ ৮৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ সময়ে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। মূল্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

কালবেলা

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দোটানা

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি পূরণ হওয়ার পর আন্দোলন নিয়ে দোটানায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। সরকার মূল দাবি মেনে নেওয়ায় একটি অংশ আর আন্দোলন অব্যাহত রাখতে চাইছে না। তবে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নতুন দাবি নিয়ে কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চাইছেন অন্যরা। ইতোমধ্যে আন্দোলন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, ‘যৌক্তিক আন্দোলনের দাবির মুখে ২৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে আংশিক বিজয় অর্জিত হয়েছে’ উল্লেখ করে সারা দেশে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনাসহ একাধিক দাবি জানিয়েছে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী মঞ্চ’ নামে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম। যদিও এই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক বা সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়করা।

দেশ রূপান্তর

গ্রেপ্তার আতঙ্কে চিকিৎসা রেখেই হাসপাতাল ছাড়ছেন অনেকে

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় আহতরা রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ আহতদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছেন সাধারণ পোশাকে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এই গুলিবিদ্ধদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আবার অনেক আহতকে জেরা করা হচ্ছে সংঘর্ষের মধ্যে যাওয়ার কারণ জানতে।

গতকাল সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর বা পঙ্গু হাসপাতাল) ঘুরে চিকিৎসক, নার্স, রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

কালের কণ্ঠ

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত

যুদ্ধাপরাধী দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। দ্রুতই এ সিদ্ধান্ত সরকার বাস্তবায়ন করবে বলে জানা গেছে।

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে গতকাল ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বণিক বার্তা

রিজার্ভ-রফতানির পর রাজস্ব আয়ের হিসাবেও বড় অসংগতি

বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে সরকারের রাজস্ব আহরণে। বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সরকারের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পরে তা কমিয়ে সংশোধিত লক্ষ্য নির্ধারণ হয় ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। এ লক্ষ্যের বিপরীতে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজস্ব আহরণে এনবিআর ও সিজিএর তথ্যের ব্যবধান সরকারি তথ্য-উপাত্তকে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এর আগে রিজার্ভ ও রফতানির তথ্য নিয়েও এমন প্রশ্ন উঠেছে। দেশে গ্রস রিজার্ভ নিরূপণে আগে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হতো।

মানবজমিন

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থী ও নাগরিক হত্যার তদন্ত দাবি

ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ, বিভিন্ন বাহিনী এবং সরকারের মদতপুষ্ট বেসরকারি অস্ত্রধারীদের হাতে শিক্ষার্থীসহ নাগরিক নিহত ও নির্যাতিত হওয়ার ঘটনার তদন্ত চেয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৭৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, স্বচ্ছ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে এই তদন্ত করার স্বার্থে  এটি জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দলের তত্ত্বাবধানে হওয়া জরুরি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গভীরতম বেদনা ও ক্ষোভের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি যে, কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর গত ১৬ই জুলাই থেকে পুলিশসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী এবং তাদের পাশাপাশি সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল মন্ত্রীর প্ররোচণায় তাদের আশীর্বাদপুষ্ট ছাত্র সংগঠনের সহিংসকর্মীরা নজিরবিহীন দমন-পীড়নের তাণ্ডব চালিয়েছে।

যুগান্তর

সব দল নিয়ে বসার পরামর্শ

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট চলমান পরিস্থিতি একটি রাজনৈতিক সংকট-এমন মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন দলের নেতারা। তাদের মতে, আলোচনার মাধ্যমে চলমান সংকট সমাধানের পথ খুঁজে বের করা উচিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বল প্রয়োগ করলে হিতে বিপরীত হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার শঙ্কা আছে। আর আন্দোলনকারী নেতাদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ভিডিও বার্তা দেওয়ার ঘটনারও তীব্র সমালোচন করেন।

এর মধ্য দিয়ে দেশবাসীর কাছে একটি ভুল বার্তা গেল। তাদের আরও অভিমত-আন্দোলনে যারা আহত ও নিহত হয়েছেন, তাদের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। তবে ক্ষমতাসীন দলের সরাসরি বিরোধী-এমন দলের নেতারা বলেছেন, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থাই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।

সমকাল

গুলিতে শিক্ষার্থী নিহতের তথ্য নেই কোনো মামলায়

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার পর বিভিন্ন মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী। রাজধানীতে দায়ের করা অনেক মামলায় বিএনপির অধিকাংশ শীর্ষ নেতার নাম রয়েছে। পাশাপাশি শত শত অজ্ঞাত ব্যক্তিকে মামলার আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কয়েকটি মামলায় শিক্ষার্থীকেও করা হয়েছে আসামি।

এজাহার বিশ্লেষণ করে আরও জানা যায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনগণ ও সরকারি সম্পদ রক্ষা করতে চায়নিজ রাইফেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ। অনেক মামলার এজাহারে সাউন্ড গ্রেনেড, ফাঁকা গুলি, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপের কথা বলা হয়। এসব মামলার বাদী পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা।

এছাড়া পুলিশের অভিযান অব্যাহত, ঢাকায় ১৪ নতুন মামলা, গ্রেপ্তার ৫৮; শিক্ষার্থীদের ঘরে ঘরে গ্রেপ্তার আতঙ্ক; ঢাকায় হঠাৎ গুমোট পরিস্থিতি; স্বজনের কান্না / পরিবারের হাল ধরা হলো না তামিমের—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।