বাংলাদেশে ডিজিটাল ভূমি মূল্যায়ন নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক দক্ষিণ কোরিয়া। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে ভূমি মূল্যায়ন (ল্যান্ড ভ্যালুয়েশন) পদ্ধতি উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্প ধারণাপত্র পর্যালোচনা করার জন্য একটি সেমিনারের আয়োজন করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২৯ জুলাই) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মন্ডল এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ।

দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠান কোরিয়া রিয়েল এস্টেট বোর্ড (আরইবি) সেমিনারে এ বিষয়ে কনসেপ্ট পেপার প্রস্তাব করে।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, কার্যকর ভূমি মূল্যয়ন ব্যবস্থা ভূমি সম্পর্কিত লেনদেনকেই সহজ করে তুলবে না, বরং কর সংগ্রহ, পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়ার দক্ষতাও বাড়িয়ে তুলবে। তারা মনে করেন, উন্নত ভূমি মূল্যায়ন কৌশল গ্রহণ ভূমি সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণে ন্যায্য ও নির্ভরযোগ্য ভিত্তি দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।

সেমিনারের অন্যতম ফোকাস ছিল জমি মূল্যায়নে আধুনিক প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের একীকরণ। অংশগ্রহণকারীরা ভৌগলিক তথ্য ব্যবস্থা (জিআইএস), মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ব্লকচেইন প্রযুক্তি, রিমোট সেন্সিং এবং ড্রোনের কার্যকর ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা প্রযুক্তিগুলোর সাহায্যে ভূমি মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে নির্ভুল, স্বচ্ছ, দক্ষ এবং নির্ভরযোগ্য করে গড়ে তোলার সম্ভাবনার কথা জানান। 

কোরিয়ার বিশেষজ্ঞরা ভূমি মূল্যায়ন ব্যবস্থায় এ জাতীয় প্রযুক্তির সফল বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরেন। তারা জানান, কোরিয়া ছাড়াও তানজানিয়ায় তারা সফলতার সঙ্গে ভূমি মূল্যায়ন ব্যবস্থা স্থাপন করেছেন। তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট চাহিদা ও শর্ত বিবেচনায় বাংলাদেশেও অনুরূপ একটি সিস্টেম গড়ে তোলার ব্যাপারে তারা এসময় দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সেমিনারে ভূমি মূল্যায়নের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত করা হয়। বিশেষজ্ঞরা সর্বোচ্চ এবং সর্বোত্তম ব্যবহার, প্রতিস্থাপন, সরবরাহ ও চাহিদা এবং প্রত্যাশাসহ জমির মূল্যায়নের নীতিগুলি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন।

এসএইচআর/এমজে