কোটা সংস্কার ইস্যুকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছে। পরে অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। 

সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে নগরের কোতোয়ালি থানার চেরাগী পাহাড় মোড় ও আশেপাশের এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। 

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটকদের কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এরপর তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চেরাগী পাহাড় মোড়ে জড়ো হয়ে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ শুরু করেন। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পৌঁছে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ এবং একপর্যায়ে গুলি করে। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন।

পরে তারা পুনরায় আন্দরকিল্লা এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাধা দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ হয়ে দেন।

সংঘর্ষে কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেনসহ তিন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। একই সঙ্গে আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন শিক্ষার্থী।

 নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিনা অনুমতিতে তারা বিক্ষোভ শুরু করে। আমরা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে আমরা ২০ জনকে আটক করেছি। তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।

সোমবার বিকেল ৩টার দিকে জামালখান প্রেস ক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পুলিশি তৎপরতায় সেখানে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেননি তারা। শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। আটকদের মধ্যে একজন চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

পরে শিক্ষার্থীরা জামালখান প্রেস ক্লাব থেকে কয়েকশো গজ দূরে গিয়ে চেরাগী পাহাড় মোড় এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। সেখানে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বেশি দেখা যায়।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী তারেক আজিজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এমনিতে সভা-সমাবেশ করলে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তারা পুলিশ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। এছাড়া, কারফিউ চলাকালে শিথিল থাকলেও কোনো সভা-সমাবেশ করা যায় না। কেউ যদি আইনভঙ্গ করে কর্মসূচি পালন করে, পুলিশ সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আইনিভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করবে।

এমআর/কেএ