মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, জঙ্গি ও দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে বলে জানিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলী।

সোমবার (২৯ জুলাই) কাজী কেরামত আলীর নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা বাংলাদেশ টেলিভিশনের ধ্বংসযজ্ঞ ও অগ্নিসংযোগস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন ও আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশনে ধ্বংসযজ্ঞ ও অগ্নিসংযোগস্থল পরিদর্শন শেষে কমিটির সভাপতি বলেন, গত ১৮ জুলাই যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে তা স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে এর আগে আর দেখা যায়নি। নিঃসন্দেহে এই ধ্বংসযজ্ঞ সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে চালানো সম্ভব নয়। প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী বাহিনী, জঙ্গিরাই এই নারকীয় ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। এসব মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, জঙ্গি ও দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছেন।

আন্দোলনে নিহত সাধারণ মানুষের মৃত্যুতে শোক প্রকাশসহ আহতদের সুচিকিৎসা ও দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি।

কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, এই ধ্বংসস্তুপ দেখে সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি মর্মাহত। গণমাধ্যম দেশের জন্য কাজ করে। তদন্ত সাপেক্ষে এর ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করতে হবে এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

আবুল কালাম মো. আহসানুল চৌধুরী বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবেশ করে বিএনপি-জামায়াত-শিবির এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে না।

পরিদর্শনে বিটিভির মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সচিব মো. তারিক মাহমুদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসআর/জেডএস