রোববার রাতে ডিবি কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে খাবার খাইয়ে সেই সময়ের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ডিবি অফিসে যাকে তাকে ধরে নিয়ে যাবেন, তারপর খাবার টেবিলে বসাবেন। এভাবে জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না।’

ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ এর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে। হাইকোর্টের মন্তব্য নিয়ে সোমবার দুপুরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন হারুন।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট কি বলেছে আমরা এখনো জানি না, শুনি নাই। সেই মন্তব্য শুনে আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করবো।’

এর আগে সোমবার দুপুরে রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার ডিবি নিয়ে এ মন্তব্য করেন।

রোববার (২৮ জুলাই) ছয় সমন্বয়কের সঙ্গে এক টেবিলে বসে নাস্তা করার কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন-অর রশীদ।

ছবির ক্যাপশনে হারুন লেখেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সঙ্গে কথা বললাম।’

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) নিরাপত্তার কথা বলে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে শনিবার (২৭ জুলাই) সারজিস, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।

জেইউ/এআর/এমএসএ