যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২০ মিলিয়ন ডোজ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ মিলিয়ন ডোজ করোনার টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৬ মে) ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমরা জরুরি ভিত্তিতে ৪ মিলিয়ন টিকা চেয়েছি। আর স্বাভাবিক অবস্থায় ১০ থেকে ২০ মিলিয়ন ডোজ টিকা চেয়েছি। বৈঠকে আমরা বলেছি, যখন অন্যান্য দেশকে করোনার টিকা দেওয়া হবে; তখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যেন আমাদেরও দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি, ওয়াশিংটন থেকে টিকা পেতে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছে ঢাকা। সেই পত্রে অনুদান হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে ৪ মিলিয়ন টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ। যদি তা না হয়, তবে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে টিকা কিনতেও বাংলাদেশ রাজি আছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘যত দ্রুত পারা যায় আমাদের টিকা দিতে আমেরিকাকে অনুরোধ জানিয়েছি। আমরা চিঠিতে ৪ মিলিয়ন টিকা চেয়েছি। এবার ১০ থেকে ২০ মিলিয়নের কথা বলেছি। বেশি বলতে তো সমস্যা নেই, যা পাওয়া যায়। রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, সঠিক দিন ক্ষণ দেওয়া যাবে না। কিন্তু এ নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। আমরা জেনেছি, তাদের কাছে ৬০ মিলিয়নের মতো টিকা পড়ে আছে। আমরা আমাদের দেশে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে তাদের কাছে জরুরি ভিত্তিতে টিকা চেয়েছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলেছি, আপনারা যখন ভারত বা অন্য দেশে টিকা দেবেন; তার আগে আমাদের দিবেন। আমাদের জরুরি ভিত্তিতে দরকার। উনি বলেছেন, সঠিক দিনক্ষণ বলতে পারব না, আমরা খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছি।’
বৈঠকে রাষ্ট্রদূতের উদ্ধিৃতি দিয়ে মোমেন বলেন, ‘টিকা দিতে ফেডারেল ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএ অনুমতির প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনও ভারত কিংবা অন্য কোনো দেশে টিকা পাঠাননি। তারা অন্যান্য ওষুধপত্র পাঠিয়েছেন।’
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত টিকা পেতে কাজ করছেন বলেও জানান মোমেন। একইসঙ্গে তিনি দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের টিকা পেতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে অনুরোধ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে টিকা সংগ্রহ করা। এজন্য আমরা চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এটা বেশ অগ্রসর হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এটা নিয়ে কাজ করছে।’
ভারত থেকেও জরুরি ভিত্তিতে টিকা চাওয়া হয়েছে বলে জানান মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের আশাও ছেড়ে দিইনি। তাদেরও আমরা টিকা পাঠাতে বলেছি।’
এনআই/ওএফ/জেএস