কাদের ইন্ধনে দুবাইয়ে বিক্ষোভ, হচ্ছে তদন্ত
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের পাশে এক দল প্রবাসী বিক্ষোভ করেন। ওই বিক্ষোভ কাদের অর্থায়নে এবং ওই বিক্ষোভ কাদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমিরাতের সরকার বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
কূটনৈতিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং সৌদি আরবেও একই সময়ে প্রবাসীরা বিক্ষোভ করেন। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন প্রবাসীরা। বিদেশি কোনো নাগরিকের রাজনৈতিক বা এমন ধরনের বিক্ষোভ করা দেশটির আইনের পরিপন্থি।
আমিরাতের ওই সব বিক্ষোভ থেকে দেশটি ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিয়েছে। তার মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। একজনকে ১১ বছর আর বেশ কয়েকজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে। ওই বিক্ষোভের পেছনে কারা অর্থ দিয়েছে এবং কারা বিক্ষোভ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে, সে বিষয়ে আমিরাতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করছে।
আমিরাতে বাংলাদেশ মিশনের একটি কূটনৈতিক সূত্র বলেছে, আমিরাতের আইন ভঙ্গ করে কারা ওই বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল, নেপথ্যে কারা, এসব বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। আমরা তাদের ফাইন্ডিংসের অপেক্ষায় আছি।
এদিকে, বাংলাদেশের চলমান ঘটনা নিয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশন প্রধানদের বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ই-মেইলে একটি জরুরি চিঠি দিয়েছেন। এর আগে একই ইস্যুতে পররাষ্ট্রসচিব মিশন প্রধানদের আরও পাঁটি চিঠি দেন। গত বৃহস্পতিবার ই-মেইলে দেওয়া জরুরি চিঠিতে পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশের মিশন প্রধানদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। মিশন প্রধানদের ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে পরামর্শ পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেন পররাষ্ট্রসচিব।
ওই চিঠিতে বলা হয়, আপনারা বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ের পাঠানো ভিডিও ফুটেজ এবং ব্রিফিং নোট (মোট ছয়টি) পেয়েছেন। আপনাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
এতে বলা হয়, আপনারা কী স্বাগতিক দেশের সরকারকে বাংলাদেশের চলমান ঘটনা নিয়ে ব্রিফ করেছেন, তাদের (স্বাগতিক) প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল, বাংলাদেশের চলমান ঘটনা নিয়ে আপনার ওখানকার স্থানীয় মিডিয়া কী কোনো প্রতিবেদন ছেপেছে, তাদের প্রতিবেদনে কী বাংলাদেশ নিয়ে নেতিবাচক কোনো তথ্য রয়েছে, আপনি কী প্রকৃত ঘটনা জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মিডিয়া কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, কোটা আন্দোলনকে ঘিরে আপনার মিশনের আশপাশে কী কোনো বিক্ষোভ হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি) নিয়ন্ত্রণ করা এখন আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ, এ বিষয়ে আপনার কোনো মতামত থাকলে জানাবেন।
এনআই/এসএসএইচ