চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর এলাকায় একটি ভবন থেকে ছাত্রলীগ কর্মীদের ফেলে দেওয়ার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। শনিবার (২৭ জুলাই) ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি রুজু হয়। এতে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

এনিয়ে চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ২০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলা কয়েকদিন চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে এখন পর্যন্ত ৫১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) আওতাভুক্ত বিভিন্ন থানা।

এ বিষয়ে রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী তারেক আজিজ ঢাকা পোস্টকে জানান, চট্টগ্রাম শহরে নাশকতার ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারাসহ সিএমপি গত কয়েকদিনে মোট ৫১৬ নাশকতাকারীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। 

এর আগে গত ১৬ জুলাই নগরের মুরাদপুর, ষোলশহর, ২ নম্বর গেট, শোলকবহর এলাকায় কোটা সংস্কার দাবিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েকদফা সংঘর্ষ হয়। এতে ৩ জনের প্রাণহানি হয় এবং আহত হয় শতাধিক। 

সংঘর্ষের সময় বিক্ষোভকারীদের ধাওয়ায় ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ মুরাদপুর মোড়ের পাশের একটি ভবনে আশ্রয় নেয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা সেখানেও হামলা করলে ছাত্রলীগ কর্মীরা পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার চেষ্টা করে। এছাড়া তাদের ভবন থেকে ফেলে দেওয়া সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক-ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে।

এমআর/জেডএস