ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীল আচরণ করলে এবং দেশের আইন মেনে চললে তাদের প্ল্যাটফর্ম দেশে উন্মুক্ত হবে বলে জানিয়েছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ ফিরলেও ফেসবুক ও টিকটক ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী নিজে এসব প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় রয়েছেন। অবশ্য এর ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

ফেসবুকে কেন সক্রিয় প্রতিমন্ত্রী পলক

ব্রডব্যান্ড সংযোগ চালু হলেও মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টিকটক বন্ধ রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী ২৩ জুলাই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিষয়টি এখনো আমি নিশ্চিত বলতে পারছি না যে কতটুকু আমরা আসলে অ্যালাউ (অনুমোদন) করতে পারব।’

কালবেলা

ছাত্রলীগের তিন নেতার ভূমিকা ‘রহস্যময়’

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের শীর্ষ তিন নেতার ‘রহস্যময়’ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত শুরু থেকেই ওই আন্দোলনকারীদের প্রতি ‘সহানুভূতিশীল’ ছিলেন বলে সংগঠনটির অনেক নেতাকর্মী জানান। আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে এই তিন নেতার বেশকিছু পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে ‘উসকে’ দিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাদের অনেকেই বলছেন, স্বেচ্ছায় মাঠ ছেড়ে না দিলে প্রতিটি হল থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বের করে দেওয়া প্রায় অসম্ভব। এ ক্ষেত্রে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নিষ্ক্রিয়তা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগ বিতাড়িত হওয়ার পরই সারা দেশে এর প্রভাব পড়ে। তখন অন্যান্য ক্যাম্পাস থেকেও সংগঠনের নেতাকর্মীরা বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন। এ ক্ষেত্রে শীর্ষ নেতারা রহস্যজনক ভূমিকা পালন করেছেন।

আজকের পত্রিকা

রাজধানীতে ‘ব্লক রেইড’: টার্গেট শিক্ষার্থী ও বিরোধীরা

রাত ১১টা। আকাশে হেলিকপ্টারে টহল। সাইরেন বাজিয়ে হঠাৎ মহল্লার চারপাশ ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। হ্যান্ডমাইকে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাবে।

অভিযানসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকায় যাঁরা সহিংসতা চালিয়েছেন এবং তাঁদের যাঁরা মদদ দিয়েছেন, তাঁদের ধরতেই এই অভিযান। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এলাকা ভাগ করে সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়। পরে তাঁদের যাচাই-বাছাই করে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

কোথায় গেল এত আওয়ামী লীগ!

টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। এ সময়ে জামায়াত-বিএনপি থেকে লাখ লাখ নেতা-কর্মী এমপি-মন্ত্রীদের হাত ধরে আওয়ামী লীগে ঠাঁই নিয়েছেন। খোলস বদল করে তারা রাতারাতি বাগিয়ে নিয়েছেন দলীয় পদপদবিও। দিবসভিত্তিক কর্মসূচি, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির কিংবা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কোনো কর্মসূচি থাকলে বিশাল বিশাল মিছিল চোখে পড়ত। পা ফেলার জায়গা থাকত না সমাবেশে।

দলীয় সূত্রমতে, টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও এ ধরনের একটি ধাক্কা কেউ দিতে পারে-এটা ছিল কল্পনার বাইরে। পুলিশ প্রশাসন থাকার পরও নেতা-কর্মীরা ঘুরে দাঁড়াতে পারলেন না কেন, এটা একটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমন্বয়হীনতা ছিল চারদিকে। সঠিক সময়ে সঠিক নির্দেশনা পাননি কর্মীরা। ভেঙে পড়ে দলের চেইন অব কমান্ড। আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রামের হৃৎপিণ্ড ঢাকায় থানা-ওয়ার্ডে কমিটি নেই প্রায় দুই বছর। অথর্ব ও অযোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে চলছে ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগ।

যুগান্তর

দরকার তিন নীতি সহায়তা

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা সামাল দিতে কারফিউ জারি করায় গত সপ্তাহে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম, দোকানপাট ও উৎপাদন বন্ধ থাকায় অর্থনীতিতে অচলাবস্থা দেখা দেয়। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ও ব্যবসা-বাণিজ্যে আগের ছন্দ ফিরে পেতে বন্দর-শিপিং ডেমারেজ মওকুফ ও কাস্টমসে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধে সরকারের নীতিসহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করেন শিল্পমালিকরা।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, গত সপ্তাহে সরকারের নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকায় আপাতত বন্দর ও শিপিং ডেমারেজ চার্জ মওকুফ চেয়েছি আমরা। পাশাপাশি শিল্পের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে, তাই ঋণের সুদটা ব্যাংক যাতে পরে নেয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।

কালের কণ্ঠ

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের বেশির ভাগই শ্রমিক

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাতে নিহত সবার সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান এখনো জানা যায়নি। তবে গত কয়েক দিনে রাজধানীর তিন হাসপাতালের মর্গে ১০৯ জনের মরদেহের তথ্য পাওয়া গেছে। হাসপাতালের তথ্যে ৮৪ জনের নাম ও বয়স জানা গেলেও সবার পেশার বিষয়ে জানা যায়নি। তবে নিহতদের বেশির ভাগই অছাত্র।

১৬ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত সংঘাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে ৮৪ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটজনের নাম-পরিচয় না পাওয়ায় ডিএনএ পরীক্ষা শেষে তাদের মরদেহ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

প্রথম আলো

১১ দিনে গ্রেপ্তার ৯ হাজার

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, সংঘাত, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শনিবার পর্যন্ত ১১ দিনে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে।

কোটাপ্রথা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেন ১ জুলাই। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে প্রায় সারা দেশে। এর পরদিন থেকে এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন জায়গায় এসব ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এখনো বিভিন্ন জায়গায় মামলা হচ্ছে।

সমকাল

নতুন করে অনিশ্চয়তায় রপ্তানি ও রেমিট্যান্স

বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে ডলারের দর এক লাফে ৭ টাকা বাড়ানো হয়। গত ৮ মে ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করে ডলারের মধ্যবর্তী দর ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আগে যা ১১০ টাকা ছিল। ডলারের দর ১১৭ থেকে ১১৮ টাকায় স্থিতিশীল ছিল। বাড়ছিল রেমিট্যান্স। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। গত সপ্তাহের ছয় দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, তা এর আগের এক দিনেরও কম।

এদিকে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারের দমনপীড়নের প্রতিবাদে বৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে হুন্ডিতে পাঠানোর ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন প্রবাসীদের একটি অংশ। বর্তমানে সীমিত ইন্টারনেট এবং ব্যাংকিং লেনদেন সীমিত করার মধ্যে রেমিট্যান্স কমে গেলে পুরো দেশকে বিপদে ফেলবে। ডলারের দর আরও বেড়ে মূল্যস্ফীতি উস্কে দেবে।

প্রথম আলো

‘একজন ফোন ধরে বলল, আপনার ছেলে মরে গেছে’

‘একজন আমার ছেলের ফোনটা ধরে বলল, আপনার ছেলে মরে গেছে। তারপর সন্দ্বীপ থেকে উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে কেমনে ঢাকা আসছি, নিজেও বলতে পারব না। আমি ছেলে হত্যার বিচার কারও কাছে চাই না, আমি শুধু আল্লাহর কাছে বিচার দেব...।’

পরিবারের সদস্যরা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ছেলের মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা রক্তাক্ত লাশ পেয়েছিলেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা ছিল ‘গান শট’। মাহামুদুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি।

এছাড়া  বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জাতিসংঘকে চিঠি ১৪০ বিশিষ্টজনের; বাবাকে খুঁজছে জান্নাত ও সাইফ; আচমকা গুলিতে বারান্দায় লুটিয়ে পড়ে শিশু আহাদ; হটস্পটে নজর পুলিশের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় গ্রেপ্তার ২৫২; স্বপন-এ্যানিসহ ৩৪ জন রিমান্ডে, কারাগারে ১৭১—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।