ফাইল ছবি

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের যে সড়ক, উন্নয়নের যে অভিযাত্রা, সে জায়গায় আবার নিয়ে যাব। কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো ধরনের নৈরাজ্য বাংলাদেশকে থামিয়ে দিতে পারবে না। 

বুধবার ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল ভবনে ঘাট ও নৌকর্মীদের মাঝে খাবার এবং ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার, মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে আমাদের প্রেরণা, মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে আমাদের সামনের পথ দেখানোর শক্তি। সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিয়েই বাংলাদেশকে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করব। এই যাত্রায় কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।

তিনি বলেন, একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং ছাত্রদের যৌক্তিক দাবিকে কেন্দ্র করে আমাদের এই অগ্রসরমান বাংলাদেশ, উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারাবিশ্বে যখন আমরা খ্যাতি অর্জন করেছি, সেই বাংলাদেশের উন্নয়নকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হলো, ধ্বংসপ্রাপ্ত করা হলো। আমরা মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে পৃথিবীর কাছে একটি মানবিক বাংলাদেশের স্বীকৃতি পেয়েছি, সেই মানবিক বাংলাদেশকে কীভাবে ক্ষত-বিক্ষত করা হলো। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বিনির্মাণ করে আমরা সমগ্র পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলাম যে, বাংলাদেশের মানুষ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সেই বাংলাদেশকে সারা পৃথিবীর কাছে খাটো করার অপচেষ্টা করা হলো। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল, সেখানে কীভাবে ক্ষত-বিক্ষত করা হলো। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে যে টোলপ্লাজা ছিল, সেই টোলপ্লাজা ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। সেতু ভবন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় সম্প্রচার কেন্দ্র বাংলাদেশ টেলিভিশন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার যে আর্কাইভ বাংলাদেশের ৫০ বছর, ৫৪ বছরে বাংলাদেশ কীভাবে ধীরে ধীরে আজকের এ পর্যায়ে পদার্পণ করেছে, তা সংরক্ষণ করা ছিল। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেই সংরক্ষিত ডকুমেন্টসগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আপনি যদি জানতে চান আজ থেকে ১৫, ২০, ৩০, ৪০, ৫০ বছর আগে বিটিভি কী ধরনের সংবাদ পরিবেশন করেছে, কী ধরনের অনুষ্ঠান করেছে, আমরা বাংলাদেশ কোথায় ছিলাম; সেগুলো এখন আমরা দেখতে পারব না। কারণ সেই আর্কাইভ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ৫০০ ঘাট ও নৌকর্মীর মাঝে খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

কেএ