কারফিউ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ থাকবে। এমনটাই জানিয়েছে ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ও পরবর্তী সময়ে ঘটা সংঘাতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দুটি টোলঘর আগুনে পুড়ে গেছে। এতে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

বুধবার (২৪ জুলাই) এফডিইইর অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) হাসিব হাসান খান এসব কথা জানান।

হাসিব হাসান খান বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে বিদেশি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। কারফিউ পুরোপুরি না ওঠা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এফডিইই। এক্সপ্রেসওয়ে চালু করার জন্য সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছে প্রতিষ্ঠান। কারফিউ পুরোপুরি উঠে গেলে বনানী ও মহাখালী ছাড়া বাকি অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, গত ১৮ জুলাই রাত পৌনে ৮টায় শত শত লোক বনানী টোলঘরে হামলা চালায়। তাদের মধ্যে একদল শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) খুলে নিয়ে যায়। কেউ কম্পিউটার, ক্যামেরা নিয়ে যায়। আরেক দল আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে টোল বুথ, ছাউনি ও সিস্টেম সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আর ১৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মহাখালী টোলঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। দুটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এতে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

বনানী ও মহাখালী টোলঘর সম্পর্কে তিনি বলেন, যন্ত্রপাতি চীন থেকে কেনা। কবে নাগাদ তা কেনা যাবে ও স্থাপন করা যাবে, সেটা নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। মহাখালীতে যান চলাচল কম। বনানী থেকে অনেক বেশি যান চলাচল হয়। সে ক্ষেত্রে বনানী টোলঘরে ‘ম্যানুয়ালি’ টোল নিয়ে চালু করা যায় কি না, সেটা নিয়েও কোম্পানি ভাবছে। তবে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত, ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ ও পরিচালনা প্রতিষ্ঠান। 

এমএইচএন/এমজে