দেশজুড়ে চলমান সহিংসতা ও কারফিউয়ের কারণে বন্ধ ছিল পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনগুলো। এর ফলে তেল বিক্রি করতে না পেরে মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার'স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মিজানুর রহমান রতন।

তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে দিনে যে পরিমাণ তেল বিক্রি হতো, সেটা এ সময় হয়নি। অথচ মাস শেষ হলে ঠিকই স্টাফদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এর ফলে প্রায় পাঁচদিন বন্ধ ছিল সব ধরনের ফুয়েল স্টেশন। এ সময়ে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকার ব্যবসা হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মালিকরা।

বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, টানা ৫ দিনের কারফিউ শেষে সকাল থেকে স্বাভাবিক হতে শুরু করে মহানগরী। অধিকাংশ পেট্রোল পাম্প ও রিফুয়েলিং স্টেশনগুলো তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ফলে সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন স্টেশনগুলোতে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।

গত কয়েকদিনের কারফিউতে দিনের প্রায় অধিকাংশ সময়ই বন্ধ ছিল রিফুয়েলিং স্টেশন ও অসংখ্য পেট্রোল পাম্পগুলো। কোথাও কোনো হামলা চালানো না হলেও ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থবির থাকায় বিশাল অঙ্কের আর্থিক লেনদেন বন্ধ ছিল।

বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার'স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মিজানুর রহমান রতন বলেন, কারফিউর সময়ে তেল বিক্রি করতে না পেরে মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছেন। স্বাভাবিক সময়ে দিনে যে পরিমাণ তেল বিক্রি হতো, সেটা সেসময় হয়নি।

তিনি বলেন, আজ সকাল থেকে পাম্পগুলো চালু হয়েছে, বেচাকেনা হচ্ছে। কিন্তু কারফিউ এখনো চলমান আছে। দেশের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলেই সব ঠিক হবে।

বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফারহান নূর বলেন, রিফুয়েলিং স্টেশনগুলো বন্ধ থাকার ফলে একটা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সারা দেশে প্রায় ৫০০ রিফুয়েলিং স্টেশন দৈনিক যদি তিন লাখ টাকাও বিক্রি করে, সে হিসেবেও বিশাল পরিমাণ একটা ব্যবসায়িক গ্যাপ তৈরি হচ্ছে। এ গ্যাপটা পুষিয়ে উঠতে সময় লাগবে।

ওএফএ/এমজে