ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, সরকার এতো সহজ জিনিস নয় যে ধাক্কা মেরে ফেলে দেবেন। ঢাকা মহানগর পুলিশ যতদিন থাকবে, স্বাধীনতা বিরোধী কাউকে কাজ করার বিন্দুমাত্র স্পেস দেওয়া হবে না। নাশকতা, সহিংসতার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের ভিডিও ধরে ধরে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, একজন নিরপরাধ লোকও যেন জেলে না ঢুকে এজন্য আমরা বিশ্লেষণ করছি। যারা প্রকৃত সন্ত্রাসী তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

বিপ্লব বলেন, ঢাকা মহানগরীতে কয়েকদিনের যে নাশকতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে, যেভাবে থানাসহ অন্যান্য সরকারি স্থাপনা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এটি কোনোভাবে ছাত্রদের আন্দোলন হতে পারে না। এটি নিশ্চিতভাবে বিএনপি-জামায়াতে সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের আন্দোলনে মিশে ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য এই কাজটা করেছে। এই নাশকতার, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে সাধারণ ছাত্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য ছাত্ররা কোনোভাবে জড়িত নয়।

তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে শুরু করে ২০২৩ সাল পর্যন্ত যারা বিভিন্ন সময়ে অগ্নিসংন্ত্রাস করেছে, বাস পুড়িয়েছে, ট্রেন পুড়িয়েছে, বিএনপি জামায়াতের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছে, মদদ দিয়েছে, বিনিয়োগ করেছে, নির্দেশ দিয়েছে। তাদের অনেক তথ্য পেয়েছি, আরও পাচ্ছি। যেসব জায়গায় আক্রমণ হয়েছে সমস্ত ফুটেজ আমরা পাচ্ছি, অসংখ্য ওপেন সোর্স থেকে ভিডিও পাচ্ছি।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ভিডিও করে রেখেছে, সেগুলো আমাদের দিচ্ছে। আমরা সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করছি। কারা কারা এই সকল ঘটনার মাস্টারমাইন্ড, তাদের গ্রেপ্তার করতে চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে। 

বিপ্লব বলেন, আমাদের তিনজন পুলিশ সদস্য আত্মাহুতি দিয়েছেন, তাদের নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কাজেই পুলিশ সদস্যদের যারা হত্যা করেছে, পুলিশের ইউনিফর্মে যারা আঘাত করেছে তাদের একজনকেও ছাড়া হবে না। পুলিশের ইউনিফর্মে আঘাত মানে আইজিপি স্যারের গায়ে আঘাত, আমার কমিশনার স্যারের গায়ে আঘাত। কাজেই এই আঘাত যারা করেছে তাদের একজনকেও ছাড়া হবে না। 

তিনি বলেন, যে স্তরের নেতা হোক না কেন, আশ্রয়দাতা, প্রশ্রয়দাতা, বিনিয়োগকারী কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। যেখানে থাকুক সেখান থেকে ধরে এনে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

জেইউ/এসকেডি