ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য লন্ডন থেকে তারেক জিয়ার নির্দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন এবং জামায়াত-শিবিরের একটি গ্রুপ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় আগুন, সহিংসতা, ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, কোমলমতি ছাত্রদেরকে ব্যবহার করে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের নামে যারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে, আমরা মনে করি, তারা যেখানেই থাকুক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বসে থাকবে না, গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তবে অযথা কাউকে হয়রানি করা হবে না।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। 

হারুন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন শুরু হয়েছিল, তখন আমরা বলেছিলাম অনুপ্রবেশকারী ঢুকে যাচ্ছে। বলেছিলাম তদন্ত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা (নাশকতাকারীরা) পুলিশের ওপরে হামলা চালায়, পুলিশ সদস্য হত্যা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল একটাই পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়া। এজন্য তারা পুলিশ হত্যার টার্গেট করেছিল। তারা চেয়েছিল পুলিশ যাতে পিছু হটে। আমরা বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে দেখেছি, লন্ডন থেকে তারেক জিয়া বিএনপি’র অনেক সিনিয়র নেতার নির্দেশে, জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ারের নির্দেশে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এ ঘটনায় তাদের কেউ হুকুম দিয়েছে, কেউ খাবার সংগ্রহ করেছে। কেউ অর্থ, গুলি, বোমা, ককটেল, গান পাউডার সরবরাহ করেছে।

হারুন বলেন, এ ঘটনায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা উত্তর বিএনপির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হককে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।

বিশেষ করে তারেক জিয়ার কাছ থেকে সরাসরি যে তথ্য আসতো, তিনি হলেন বিএনপির নির্বাহী পরিষদের সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং। তার কাছ থেকে আমরা বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি। সবাইকে বলা হয়েছে, কেউ যদি কাজ না করো তাহলে হাতে চুড়ি পড়ে চলে যাও। যেভাবেই হোক এই সরকারকে হটাতে হবে।

যারা মাঠ পর্যায়ে আন্দোলনে জড়িত তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে হারুন বলেন, এই অরাজকতায় দুটি পার্ট। একটি মাঠে ছিল। আরেকটি গ্রুপ হুকুমদাতা, অর্থ, খাদ্য, রসদ সরবরাহকারী। আমরা সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণ, মোবাইলের ম্যাসেজ ও ডিজিটাল তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যারা নাশকতা, সহিংসতা, নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

জেইউ/এমএ