চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকায় কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়া দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আবার পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে তাদের দুই কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

সংঘর্ষে তিন যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি করতে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে বিক্ষোভকারীদের দাবি, অস্ত্র হাতে গুলিবর্ষণকারীরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা।

এদিকে, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার বিকেলে বহদ্দারহাট পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এতে বক্সের ভেতরে থাকা ৬টি মোটরসাইকেল পুড়ে যায়। এছাড়া শিক্ষার্থীরা নগরের চাঁদগাও থানায়ও হামলার চেষ্টা করে। তবে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়লে তারা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, সংঘর্ষে দুজন পুলিশও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন, সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বৃহস্পতিবার সকালে নগরের বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকায় কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

কমপ্লিট শাটডাউনে চট্টগ্রাম থেকে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল। নগরের বিভিন্ন সড়কেও যানচলাচল একেবারে কম ছিল। সড়কে রিকশা এবং ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্য ছিল। নগরের মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা যায়। সড়কে পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় টহল দেয় বিজিবির গাড়ি।

৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ান চট্টগ্রামের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিজিবি সদস্যরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক, হাটহাজারী, চন্দনাইশ উপজেলা এবং চট্টগ্রাম শহর এলাকায় নিয়োজিত রয়েছে।

এমআর/এমজে