কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন অন্তত ৮৭ জন। এর মধ্যে ২৭ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

ঢামেকে আসাদের মধ্যে রয়েছেন যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় গুলিবিদ্ধ মো. রিয়াদ (২৩) আশরাফুল (২৩), পারভিন (৩০), সায়েন্সল্যাবে গুলিবিদ্ধ তানিম (১৭), যাত্রাবাড়ীর জনপথের মোড়ে ইট-পাটকেলে আহত হয়েছেন বিআরটিসি বাসের চালক উজ্জ্বল (৩২)। রামপুরা ব্রিজের উপর ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ফজলুল হক মিলন (৫৫)।

এছাড়াও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন রেসিডেন্স মডেল কলেজের শিক্ষার্থী আবির হোসেন পিয়াস (২১), নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী হাসিবুল (২২), সিদ্ধেশ্বরী কলেজের শিক্ষার্থী রাইভী (২০), গুলিবিদ্ধ উত্তরা রেসিডেন্স মডেল কলেজের শিক্ষার্থী সৌমিক (২০), সিদ্ধেশ্বরী কলেজের শিক্ষার্থী সাদমান সাইফ (২৩), যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ পথচারী মইনুল ইসলাম (২৫), উত্তরা থেকে ইমরান (১৮), শিক্ষার্থী মোজাম্মেল (১৯), ৭১ টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার নাদিয়া শারমিন (৩৭) ও ক্যামেরাপার্সন সৈয়দ রাশেদুল হাসান (৩২), বাদামতলী এলাকা থেকে কিশোর জয়নাল (১১), যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে পথচারী আনোয়ার (৪৪), সিদ্ধেশ্বরী হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোনিয়া (১৪), ইসমাইল (৪৬), ইমরান (১৮), মোজাম্মেল (২৫), তারেক (১৮), অজ্ঞাত (১৮), মুজাহিদুল ইসলাম (২৩), শাকিল (৪৪), তারেক (৩০), অজ্ঞাত (১৮), সিয়াম (১৮), আরিফ (১৮)।

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী তাহাসিন (২৪), উত্তরা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী তাহসিন (২৩), মারিয়া (২৩), প্রবাল (২২), গুলিবিদ্ধ কিশোর ইব্রাহিম (১৪), উত্তরা থেকে গুলিবিদ্ধ ওমর খান (২২), গুলিবিদ্ধ আলম (২৩), রামপুরা থেকে গুলিবিদ্ধ অর্ণক (২৩), রামপুরা থেকে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক জীবন (৩০), রামপুরা থেকে গুলিবিদ্ধ হুদা (৩১), বিজয়নগর থেকে গুলিবিদ্ধ মামুন (২৫), রামপুরা থেকে গুলিবিদ্ধ জিহান (১৩), বাড্ডা থেকে গুলিবিদ্ধ মোহিত (২৩), উত্তরা থেকে গুলিবিদ্ধ ফজল শেখ (৩৫), রামপুরা থেকে গুলিবিদ্ধ রিপন (৩০), মতিঝিল থেকে গুলিবিদ্ধ সুজন (৩৭)।

শনির আখড়া থেকে গুলিবিদ্ধ মামুন (২৫), রামপুরা থেকে গুলিবিদ্ধ সোহেল রানা (৩৫), গুলিবিদ্ধ জামাল (৩৫), মমিন (১৮) ঢাকা কলেজ, অজ্ঞাত (২৩), উত্তরা থেকে অজ্ঞাত (১১), মাহমুদ (১৮), অজ্ঞাত (১৮), শাহবাগ থেকে ফারদিন (১৮), উর্দু রোড থেকে জাহিদ (২৪), উত্তরা থেকে অজ্ঞাত (২২), শনির আখড়া থেকে ইমরান (২০), হাসান (২২), অজ্ঞাত (৪০), এসআই তন্ময় (৩২), সাগর (৩৫), যাত্রাবাড়ী থেকে আপন (২৪), ইউসুফ (১৮), মেহেদী (২২), সজীব (২২), মেহেদী (২২), কায়েম (২২), যাত্রাবাড়ী থেকে মাহবুবুর রহমান (২০), মিনহাজ (২৪), ফাহিম (২৩) ,হাবিব (২৩), কবির( ৩৬ ) কবির (৩৫) জামাল (৩৫), অজ্ঞাত (২৪) অজ্ঞাত (৩০), হাসান (১৮), হাসান (২৩) অজ্ঞাত (২৫), ইয়াসিন (১৮), মেহেদী (২২), নিলয় (২৭), আকাশ (৩০), রবিন (১৭), বাবলু (২৫) ,রহিম (৩৫),মুয়াজ (২১) বাবলু (৩২)।

এদের মধ্যে ২৭ জনকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, ফজলুল হক মিলন (৫৫), মোজাম্মেল (২৫), মহিদুল (২৩), রিয়াজ সিকদার (২৪), ইমরান (১৮), তাহসিন (২৪), জিহান (১৩), ইব্রাহিম (১৪), সুজন (৩৭), রাফি (১০), অজ্ঞাত (২৩), অজ্ঞাত (৪০), মো মবিন (১৮), হাসান (২২), মামুন (২৫), অজ্ঞাত (১৮), তারেক (৩৫), সজিব (২২), হাসান (১৮), সাগর (৩৫), মাহবুবুর রহমান (১৯),কবির (৩৬), অজ্ঞাত (২৫ ), ইউসুফ (১৮), মনোয়ারা (৬৫), হাবিব (২৩), অর্ণব (২৫)।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৮৭ জন আহতকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছিল। সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ে তাদের ঢামেকে আনা হয়। এর মধ্যে ২৭ জনকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। যাত্রাবাড়ী থেকে আসা গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাত এক রিকশাচালকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।

এসএএ/এসকেডি