রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩৩ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আনা হয়।

ঢামেকে আসাদের মধ্যে রয়েছেন যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় গুলিবিদ্ধ মো. রিয়াদ (২৩) আশরাফুল (২৩), পারভিন (৩০), সায়েন্সল্যাবে গুলিবিদ্ধ তানিম (১৭), যাত্রাবাড়ীর জনপথের মোড়ে ইট-পাটকেলে আহত হয়েছেন বিআরটিসি বাসের চালক উজ্জ্বল (৩২)। রামপুরা ব্রিজের উপর ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ফজলুল হক মিলন (৫৫)।

এছাড়াও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন রেসিডেন্স মডেল কলেজের শিক্ষার্থী আবির হোসেন পিয়াস (২১), নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী হাসিবুল (২২), সিদ্ধেশ্বরী কলেজের শিক্ষার্থী রাইভী (২০), গুলিবিদ্ধ উত্তরা রেসিডেন্স মডেল কলেজের শিক্ষার্থী সৌমিক (২০), সিদ্ধেশ্বরী কলেজের শিক্ষার্থী সাদমান সাইফ (২৩), যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ পথচারী মইনুল ইসলাম (২৫), উত্তরা থেকে ইমরান (১৮), শিক্ষার্থী মোজাম্মেল (১৯), ৭১ টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার নাদিয়া শারমিন (৩৭) ও ক্যামেরাপার্সন সৈয়দ রাশেদুল হাসান (৩২), বাদামতলী এলাকা থেকে কিশোর জয়নাল (১১), যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে পথচারী আনোয়ার (৪৪), সিদ্ধেশ্বরী হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোনিয়া (১৪), ইসমাইল (৪৬), ইমরান (১৮), মোজাম্মেল (২৫), তারেক (১৮), অজ্ঞাত (১৮), মুজাহিদুল ইসলাম (২৩), শাকিল (৪৪), তারেক (৩০), অজ্ঞাত (১৮), সিয়াম (১৮), আরিফ (১৮), ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী তাহাসিন (২৪), উত্তরা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী তাহসিন (২৩), মারিয়া (২৩)।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধসহ আহত অন্তত ৩৩ জন ঢাকা মেডিকেল এসেছেন। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।  

এসএএ/এসকেডি