চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে সর্বভারতীয় ছাত্র জোট (এআইএসএ)। 

মঙ্গলবার ছাত্র সংগঠের জোটটির সভাপতি নিলাসিস বোস এবং সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ কুমারের সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছি। আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং তরুণদের বিশেষ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতাদের পাশে আছি। যারা আহত এবং আটক হয়েছেন তাদের পাশে আছি।

তারা বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বৈষম্যমূলক কোটা নিয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাস্তায় আন্দোলন করছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। আন্দোলন চলার সময় শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ এবং সরকার দলীয় সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল, রোড এবং লাঠিঁসোটা নিয়ে হামলা চালায়।    

প্রসঙ্গত, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেশ সহিংস রূপ নেয়। এদিন ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ৬ জন মারা যান। আহত হন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

এ অবস্থায় মঙ্গলবারই সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার বন্ধ ঘোষণা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হল ও ক্যাম্পাস ত্যাগ না করার ঘোষণা দিয়েছেন। হলগুলোর ভেতরে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বেশিরভাগ হল থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বের করে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা প্রসঙ্গে কথা বলার সময় মন্তব্য করেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’

প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা ধরে নিয়েছেন ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ তাদেরকেই বলা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার মধ্যরাত থেকেই আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলন এখনো চলছে। আজ বুধবারও ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকাসহ ৬ জেলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

কেএ