রাজধানীতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী, পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ২১ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।

বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তার আশেপাশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিকরা হলেন, সাবিব (৩৩), জীবন (২৫), সোলাইমান (২৬), তারেক (২৫)। তারা চারজন টিএসসির রাজু ভাস্করদের সামনে আহত হয়।

অন্য আহতরা হলেন, কাউসার (২০), মো. অলিউল্লাহ (২৭), মো. নাঈম (২৪), মো. সাইদুল ইসলাম (২৬), মো. ইকবাল হোসেন (৪০), মো. সোহান (২৮), লিমন (১৫), মিজান (২০), ফেরদৌস (৪০), মিরপুর রূপনগর থানা আওয়ামী মহিলা লীগের কর্মী কবিতা (৪৫), নাসরিন (৪৮), রহিমা (৫০) ও কুমিল্লা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ল’ কলেজের শিক্ষার্থী নাদিম উদ্দিন খোকন (২৭), জুরাইনের ছাত্রলীগ কর্মী কৌশিক হাসান বিজয় (২৩), মো. মাসুদ (২১), মো. হাবিব (২২) ও জুরাইন ইউনিট আওয়ামী লীগের মো.  রিপন (৩৯)।

ঢামেকে চিকিৎসাধীন আজকের পত্রিকার মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক সাব্বির বলেন, এক শিক্ষার্থী রাস্তার মাঝখানে শুয়ে পড়লে পুলিশ তাকে টেনে বের করার সময় সাংবাদিকরা তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছিল। এ সময়ে হঠাৎ করে একটি সাউন্ড গ্রেনেড আমার বাম হাতের ওপর বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আমার পেটে জখম ও বাম হাতের চামড়া পুড়ে গেছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, ঢাকা মেডিকেলে এ পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রার্থী সাংবাদিকসহ ২১ জন জরুরি বিভাগের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে দুইজনকে ভর্তি দিয়েছে চিকিৎসক। অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন আবার অনেকেই জরুরি বিভাগে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এসএএ/এসএম