চট্টগ্রামে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনা এখন পর্যন্ত চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাত ও বুধবার (১৭ জুলাই) এসব মামলা দায়ের হয়। এতে আসামি করা হয়েছে কয়েক হাজার ব্যক্তিকে। আরও মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। 

এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ পর্যন্ত পাঁচলাইশ থানায় তিনটি এবং খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলা হবে।

গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু আসামিদের বেশিরভাগই অজ্ঞাত। তাই সহিংসতায় জড়িতদের আমরা ভিডিও ফুটেজ ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করছি। এরইমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান চলমান আছে।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে জড়ো হন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দুপুর থেকেই ষোলশহর রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিলটি মুরাদপুর এলাকায় পৌঁছালে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় শিক্ষার্থীদের মিছিল লক্ষ্য করে চার ব্যক্তিকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। এতে তিনজন নিহত হন। আহত হন ৭৬ জন। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সংঘর্ষে নিহত তিনজনের মধ্যে ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সদস্য। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা এলাকার শফিউল আলমের ছেলে। অপরজন ফারুক, তিনি পথচারী ছিলেন। ফারুকের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ফার্নিচারের দোকানে চাকরি করতেন। আরেকজন চট্টগ্রাম নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল আহমেদ শান্ত। 

এমআর/জেডএস