এবার প্রগতি বইঘরও শিশুসাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের বই বিক্রি না করার ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে তার একটি বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রকাশনী এমন ঘোষণা দিয়েছে। তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রায় এক লাখ ২৬ হাজার অনুসারীর পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘ঠিক এখন থেকে জাফর ইকবাল স্যারের সব বই বিক্রি করা আমরা বন্ধ ঘোষণা করছি’। এরপর আবার কমেন্টে লেখা হয়েছে ‘স্যার রুপক অর্থে লেখা হয়েছে’।

বুধবার (১৭ জুলাই) ভোর ৪টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পোস্টটি দেওয়ার মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় প্রায় ১৭ হাজার মানুষ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। এক হাজার মানুষ মন্তব্য করেছেন এবং এই পোস্টটি ৩৪৯ জন মানুষ শেয়ারও করেছেন।

আব্দুল আউয়াল নামের একজন লিখেছেন, ‘সাহসের প্রশংসা করছি’, রাকিবুল ইসলাম নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘প্রতিবাদ হোক সর্বক্ষেত্রে’, আবির আল আরাফাত নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ জানাই এমন সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য’।

এর আগে, এই একই ইস্যুতে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের বই বিক্রি না করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বই কেনার প্লাটফর্ম ‘বুকস অব বেঙ্গল’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৭৭ হাজার অনুসারী রয়েছে তাদের।

ফেসবুক পোস্টে বুকস অব বেঙ্গল জানিয়েছে, অনেকের মতো আমরাও একটা সময় মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা পড়ে বড় হয়েছি। অনেকের মতো আমাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আগ্রহ তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু আজ কোটা আন্দোলন নিয়ে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে উনি যে ধরনের বক্তব্য প্রদান করেছেন, সেটি কোনোভাবেই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

প্রসঙ্গত, জাফর ইকবালের লেখা দুই পাতার একটি চিঠির একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এতে তিনি লিখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার বিশ্ববিদ্যালয়, আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আমি মনে হয়, আর কোনোদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাইব না। ছাত্রছাত্রীদের দেখলেই মনে হবে, এরাই হয়তো সেই ‘রাজাকার’। আর যে কয়দিন বেঁচে আছি, আমি কোনো রাজাকারের মুখ দেখতে চাই না। একটাই তো জীবন, সেই জীবনে আবার কেন নতুন করে রাজাকারদের দেখতে হবে?

মূলত, এই মন্তব্য ঘিরেই নেটিজেনদের মধ্যে সমালোচনা তৈরি হয়েছে।

আরএইচটি/কেএ