রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় সংঘর্ষে শাহজাহান (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় নিহতের মা আয়েশা বেগম ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের মর্গে এসে তার ছেলেকে শনাক্ত করেন।

শাহজাহান পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। নিউমার্কেট এলাকায় ফুটপাতের পাশে তার দোকান ছিল।

নিহতের মা আয়েশা বেগম বলেন, ‘আজ সন্ধ্যার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক ছাত্র আমাকে ফোন করে জানায় আপনার ছেলে গুলিতে আহত হয়ে পপুলার হাসপাতালে আছে। পরে আমরা পপুলার হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের মর্গে এসে আমার ছেলের মরদেহ শনাক্ত করি।’

তিনি আরও, ‘আমার ছেলে তো রাজনীতি করত না, সে তো ফুটপাতে পাপোশ বিক্রি করত। আমরা তো গরিব মানুষ। আমার ছেলেকে কেন এভাবে গুলি করে মেরে ফেলল? আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই। দুপুরে দোকানে আসার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় সে। ঢাকা মেডিকেলে এসে দেখি আমার ছেলেকে গুলি করে মেরে ফেলে রাখা হয়েছে।  

নিহতের খালু মোসলেম বলেন, আমরা খবর পেলাম তার মোবাইলের মাধ্যমে শাহজাহান আহত অবস্থায় পপুলার হাসপাতালে আছে। আমাদের জরুরিভাবে হাসপাতালে আসতে বলা হয়। পরে আমরা দ্রুত পপুলার হাসপাতালে গিয়ে সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি তারা জানাল ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসছে। খুঁজতে এসে দেখি মর্গে তার মরদেহ পড়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, দেড় বছর আগে সে বিয়ে করে শাহজাহান। তার একটি সন্তানও হয়েছিল কিন্তু সে মারা যায়। তার বাবা ইমান আলী তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন। বর্তমানে তার মাকে নিয়ে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় থাকে।

এদিকে এ ঘটনায় আরও এক যুবক নিহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, সন্ধ্যার পর গুরুতর আহত অবস্থায় পপুলার হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেলে এক যুবককে নিয়ে আসা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাজধানীতে ছাত্রলীগ পুলিশ ও কোটা বিরোধীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এসএএ/এসকেডি