রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় ফেরার সময় সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে। 

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে তাকে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে আশ্রয় নিতে হয়। 

আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতাল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, ল্যাবএইড থেকে বের হওয়ার পর প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ আন্দোলনকারী তার গাড়ি দুটি আটকে দেয়। এ সময় হাজী সেলিমের অনুসারীদের সাথে আন্দোলনকারীদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। 

একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা তার গাড়িতে হামলা চালালে তিনি ল্যাবএইড হাসপাতালে আশ্রয় নেন। এস ময় আন্দোলনকারীরা ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিতে থাকেন।  

২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। সম্প্রতি, কয়েকজন মুক্তযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে প্রথম ও ২য় শ্রেণির চাকরির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার আবারও প্রচলন চান। হাইকোর্ট ওই রিট ‘অ্যাবসলুট’ ঘোষণা করেন এবং ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে জারি করা সরকারি পরিপত্রটি অবৈধ ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলে গেছে এবং আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের ওপর ৪ সপ্তাহের জন্য ‘স্ট্যাটাস কো’ বা স্থিতাবস্থা জারি করেছেন। আগামী ৭ আগস্ট এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

হাইকোর্ট ২০১৮ সালের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করার পর থেকে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের ভয়, সরকার আদালতকে ব্যবহার করে আবারও কোটা পদ্ধতি চালু করতে চায়। প্রথমে তারা দাবি করেন ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে অর্থাৎ কোনো ধরনের কোটা থাক সেটি তারা চান না।

পরে তারা অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসে কোটার যৌক্তিক ও স্থায়ী সংস্কার চান। সেক্ষেত্রে তারা মূলত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা রাখার পক্ষে এবং সেটি সর্বোচ্চ ৫% রাখার দাবি তাদের। এই সংস্কার এখন তারা ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির চাকরির ক্ষেত্রেও চাচ্ছেন।

এসএইচআর/এনএফ