সাইরেন বাজিয়ে একটু পর পর আসছে অ্যাম্বুলেন্স। কাউকে আবার আনা হচ্ছে মাইক্রোবাস এবং রিকশা ও অটোরিকশায় করে। বেশিরভাগই গুরুতর আহত। কারও মাথায় আঘাত, আবার কারও হাতে পায়ে। গুলিবিদ্ধ আছেন কেউ কেউ। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দৃশ্য এমনই।

এসময় সহপাঠীদের চিৎকারে ভারী হয়ে ওঠে হাসপাতালের আশেপাশের এলাকা। ইতোমধ্যে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেছেন। তাদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, একের পর এক আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হচ্ছে। তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন।

জানা গেছে, বিকেল ৩টা থেকে নগরের মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট এবং ষোলশহর আশেপাশের এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এর আগে দুপুর থেকে বিভিন্ন মোড়ে অবস্থা নেয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। দুই নম্বর গেটের এলাকায় একটি বাস ভাঙচুর করে তারা।

সবশেষ তথ্যমতে, ষোলশহর শিক্ষা বোর্ড এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে। মুরাদপুর অংশে অবস্থান নিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা। দুই নম্বর ও ষোলশহর এলাকায় অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে।

কোটা আন্দোলনকারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ছাত্রলীগ হামলা করেছে। আমাদের অনেক শিক্ষার্থী হতাহত হয়েছেন।

এমআর/আরএমএন/এসকেডি