ছাত্রলীগকে পিছু হটিয়ে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব-নিউমার্কেট এলাকা ফের দখলে নিয়েছে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমর্থনকারী শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ এখনও থেমে থেমে চলছে। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এখন পর্যন্ত নিউমার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে শুরু করে সায়েন্সল্যাব মোড় এবং নিউমার্কেট পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ ও ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মীরা ঢাকা কলেজের ভেতরে অবস্থান নিয়েছেন। পুরো এলাকাজুড়েই বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা।

উল্লেখ্য, গত রোববার চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’

প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা বা নাতিপুতি’ বলা হয়েছে অভিযোগ করে রোববার রাত থেকে প্রতিবাদ শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাতে প্রথমে রোকেয়া হলের মেয়ে শিক্ষার্থীরা হল থেকে মিছিল নিয়ে বের হয়ে আসেন। তারা স্লোগান দেওয়া শুরু করেন ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীরা দলে দলে মিছিল নিয়ে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার বিক্ষোভ শেষে হলে ফিরে যান তারা।

একই সময়ে মধ্যরাতে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

একই ইস্যুতে গতকাল সোমবারও উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাবিসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। এ সময় বেশ কয়েক জায়গায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়।

আইএইচটি/এমজে