সরকারি কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
‘পত্রপত্রিকা কী লিখল সেটা দেখে নার্ভাস হওয়ার কিছু নেই’
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পত্রপত্রিকা কী লিখল সেটা দেখে নার্ভাস হওয়ারও কিছু নেই, ঘাবড়াবারও কিছু নেই। বরং দেখবেন এর কোনো সত্যতা আছে কি না? যদি না থাকে সেটাকে সোজা ডাস্টবিনে ফেলে দেবেন, পড়ারও দরকার নেই। এটা আপনাদের প্রতি আমার পরামর্শ। আমি নিজেও অনেক পত্রিকা পড়ি না।
সোমবার (১৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
সরকারি চাকরিজীবীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা ২০১৫ সাল থেকে বৃদ্ধি করে দিয়েছি। কারণ, যারা কাজ করবেন তাদের যদি অনবরত নিজের সংসার নিয়ে চিন্তায় থাকতে হয়, তাহলে দেশের কাজে মনোনিবেশ করতে পারবেন না।
‘সেটা বিবেচনা করেই আপনাদের জীবনটা যাতে সুন্দর হয়, সেজন্য বাসস্থান থেকে শুরু করে শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ, বিদেশে পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ– সব দিকে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছি। আমরা দুর্নীতিমুক্ত সমাজ যেমন গড়তে চাই, সেই সঙ্গে যারা কাজ করেন তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা যাতে অর্জিত হয় সেদিকেও দৃষ্টি দিয়েছি।’
আরও পড়ুন
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেখানে কোনো অনিয়ম দেখা দেবে, আপনারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। অবশ্যই আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছি। দুর্নীতি ধরতে গেলে পরে সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়– আমরা এটা বিশ্বাস করি না। দুর্নীতি খুব কম লোকই করেন কিন্তু তার বদনামটা হয় বেশি। এ কারণে যারাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের বদনাম হবে কি না, সেটা কেয়ার করি না। আমি সমাজটাকে আরও শুদ্ধ করে গড়তে চাই। দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। সেজন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। কোনো মতেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না।
সরকারপ্রধান এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা আনার নির্দেশনা দেন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার অনুরোধ, পত্রপত্রিকায় কী লিখল সেটা দেখে নার্ভাস হওয়ার কিছু নেই, ঘাবড়াবারও কিছু নেই। বরং দেখবেন এর কোনো সত্যতা আছে কি না। যদি না থাকে সেটা সোজা ডাস্টবিনে ফেলে দেবেন। পড়ারও দরকার নেই। এটা হলো আপনাদের প্রতি আমার পরামর্শ।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি নিজেও অনেক পত্রিকা পড়ি না। কেন? দেশটা আমার। দেশকে ভালোভাবে চিনি, জানি। সেই ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, জন্ম নিয়েছি জাতির পিতার ঘরে। এ দেশের কীভাবে ভালো হয়, মন্দ হয়; আমার জানার কথা বেশি, আর কারও নয়। কেউ জানতেও পারে না।’
এমএসআই/এসএসএইচ