কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আমার কোনো অধিকার নাই। আদালত থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সেটাই হবে।

অর্থাৎ কোটার বিষয়ে সরকার বা প্রধানমন্ত্রী নিজে আর কোনো সিদ্ধান্ত দেবেন না, এটাই পরিষ্কার হলো।

প্রধানমন্ত্রীর এই অবস্থানকে কীভাবে নিচ্ছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা?

ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন নিয়ে সরকারের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছানো হচ্ছে না।

‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। সমালোচকরা কেবল জনদুর্ভোগের কথাই বলছেন কিন্তু কেউ খোঁজ নিয়ে জানতে চাইলেন না কেন আমরা আন্দোলন করছি; কেন আমরা কোটার সংস্কার চাইছি। কেউ প্রধানমন্ত্রীকে সঠিক তথ্যটি জানাচ্ছেন না, বোঝাচ্ছেন না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক’- বলেন আসিফ মাহমুদ।

তিনি বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন কোটার পরিবর্তন, পরিবর্ধন করা সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। কোটা একটি নীতিগত বিষয়, যা সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক চূড়ান্ত হয়। হাইকোর্ট এটা বলার পরও প্রধানমন্ত্রী কেন এমন মন্তব্য করলেন আমরা জানি না। তার কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছানো হচ্ছে না বলে মনে করি আমরা।

পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে এই সমন্বয়ক বলেন, আমরা এখনো হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়টা পড়িনি। কিছুক্ষণ পরে হয়ত এ রায় নিয়ে আমাদের অবজারভেশন তৈরি হবে। তখন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে।

প্রসঙ্গত, রোববার বিকেলে চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের সংবিধান কী বলে তা তাদের (আন্দোলনকারীদের) জানা উচিত। এখন আদালত তাদের সুযোগ দিয়েছে। তারা আদালতে যাক। কিন্তু তারা আদালতে না গিয়ে রাজপথে দাবি আদায় করতে চায়। বিষয়টি এখন আদালতে চলে গেছে। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আমার কোনো অধিকার নাই।

প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।

কেএইচ/এসএসএইচ