চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় মো. জালাল (৩৮) নামের স্থানীয় এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক।

রোববার (১৪ জুলাই) উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের শোলকাটা এলাকার মনু মিয়া দিঘির সামনে ভোর ৬টার সময় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, নিহত মো. জালাল (৩৮) আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আলতাফ মুন্সির ছেলে। তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত জালাল ও বিবাদীদের সঙ্গে  জমিজমা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার মহিউদ্দিন বলেন, সকালে জালালসহ আমি কালাবিবির দিঘির আড়তে মাছ বিক্রি করতে যাচ্ছিলাম। এর মধ্যে মনু মিয়ার দিঘির সামনে তারা আমাদের পথের সামনে দাঁড়ায়। এ সময় জালাল গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে তারা জালালকে ধরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। জুঁইদন্ডী এলাকার স্থানীয়  সৈয়দের ছেলে মোক্তার হোসেন, বদরুজ্জামানের ছেলে নুর হোসেন, জাকির ও বোরহানসহ আরও ১-২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। যাওয়ার সময় তারা আমাদের বলে গাড়ি থেকে নামলে তোদেরও কোপাবো।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মামলা প্রক্রিয়া চলছে এবং পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে।

জুঁইদন্ডী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিচ ঢাকা পোস্টকে বলেন, জালালের বড় ভাই চৌমুহনী এলাকায় মাছ বিক্রি করেন। সেখানে তার কাছে মোক্তার মার্চের দিকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এরপর মোক্তারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়। যতটুকু জেনেছি, এর সূত্র ধরে আজকে জালালকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আরএমএন/এমএ