দুই কিডনি ডেমেজ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এ রশিদের বসতবাড়ি অধিগ্রহণ না করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অন্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা। শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর শাজাহানপুরে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এ হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঢাকা মহানগরীর সাবেক সহকারী কমান্ডার মো. আলীর সভাপতিত্ব করেন।

এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, পাতাল মেট্রোরেল বিমানবন্দর থেকে মৌচাক-মালিবাগ হয়ে কমলাপুর যাবে। কিন্তু এই পাতাল রেলের প্রকল্প থেকে এক হাজার ফুট দূরে অবস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এ রশীদের শেষ সম্বল বসতবাড়ি অধিগ্রহণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একটি প্রভাবশালী মহল এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশীদ বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। জীবনের শেষ সময়ে এসে তারা দুটো কিডনিই অচল। যা প্রতিনিয়তই ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। এই মুহূর্তে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে কোনোরকমে জীবনযাপন করছেন।

তারা অভিযোগ করেন, আগেও এই বীর মুক্তিযোদ্ধার অনেক সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে বসতবাড়ি ছাড়া তার আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এই বাসার ভাড়ার টাকাতেই তার চিকিৎসা এবং ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোগাড় হচ্ছে। তাই মানবিক বিবেচনা করে শেষ সম্বলটুকু অধিগ্রহণ না করতে ঢাকার জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কেউই এ বিষয়ে কর্ণপাত করেননি। তাই বীর মুক্তিযোদ্ধার শেষ সম্বল রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

এসময় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঢাকা মহানগরীর সাবেক কমান্ডার মো. গোলাম হোসেন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সফিকুর রহমান শহীদ, ক্যান্টনমেন্ট থানা কমান্ডার মো. আবুল হাসেম এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আবদুর রশীদ মন্ডল।

আরএইচটি/এসএসএইচ