গাইবান্ধায় পঞ্চম শ্রেণীর কন্যাশিশুকে জোরপূর্বক বাল্যবিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে আত্মহত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। বাল্যবিয়ে ও আত্মহত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়— গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের পুনতাইড় গ্রামে পঞ্চম শ্রেণীর কন্যাশিশুকে জোরপূর্বক বাল্যবিয়ে দেওয়ায় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

পুনতাইড় আগপাড়া গ্রামে আব্দুর আজিজ তার মেয়ে আরমিনকে এ বছর ঈদুল আজহার পর নকল জন্মসনদ বানিয়ে একই গ্রামের সানাপাড়ার ফজলুল হকের ছেলে ওমর সানির সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়। গত ৮ জুলাই আরমিন শ্বশুড়বাড়ি থেকে কান্নাকাটি করে বাবার বাড়ি চলে আসে। এরপর ৯ জুলাই (মঙ্গলবার) বিকেলে সবার অগোচরে আত্মহত্যা করে। ঘটনার দিনই স্বজনরা কন্যাশিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।

কন্যাশিশুকে জোরপূর্বক বাল্যবিয়ে দেওয়া এবং আত্মহত্যার ঘটনায় মহিলা পরিষদ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। দেশে আইন থাকা সত্ত্বেও বাল্যবিয়ের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলেছে। বাল্যবিয়ের ফলে কন্যাশিশুরা তাদের শিক্ষাজীবন থেকে ঝড়ে পড়ছে এবং শারীরিক ও মানসিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি বাল্যবিয়ের নেতিবাচক প্রভাব রাষ্ট্র, সমাজ এবং পরিবারকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

এই বাল্যবিয়ে ও আত্মহত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানাচ্ছে মহিলা পরিষদ।

জেইউ/এমজে