বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, মোবাইল আসক্তি ছেলে-মেয়েদের বই থেকে দূরে ঠেলে দেয়। এ জন্য সমাজে বই পড়ার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বুধবার (১০ জুলাই) উত্তরা লেডিস ক্লাবে বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষ্যে উত্তরা পাবলিক লাইব্রেরি কর্তৃক আয়োজিত ‘বাবা মানে বটবৃক্ষের বিশাল ছায়া’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ‘গর্বিত বাবা সম্মাননা প্রদান-২০২৪’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. খসরু চৌধুরী এমপি।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, একজন বাবা যেভাবে একটি পরিবারকে বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিয়ে রাখেন, তেমনি তার দায়িত্বহীনতার কারণে একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের প্রধান নিয়ামক স্মার্ট সিটিজেন। বাবা-মা তাদের সন্তানদের পারিবারিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুশাসন শিক্ষার মাধ্যমে স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তুলবে।

তিনি বলেন, আলোকিত সমাজ গড়তে হলে লাইব্রেরির গুরুত্ব অপরিসীম। মোবাইল-আসক্তি ছেলে-মেয়েদের বই থেকে দূরে ঠেলে দেয়। তাই সমাজে বই পড়ার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পরিবারের পিতা-মাতা সন্তানদের বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে হবে।

শামসুল হক টুকু বলেন, উপস্থিত গর্বিত বাবা সম্মাননা পদক যারা পেয়েছেন, তারা সবাই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য সফলতার চিহ্ন রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে আপনার সন্তানরা ও যেন অংশীদার হয়, সেদিকে সুনজর দেওয়ার প্রয়াস অব্যাহত রাখবেন।

অনুষ্ঠানে মনোনীত ’গর্বিত বাবাদের হাতে ডেপুটি স্পিকার সম্মাননা তুলে দেন। এর আগে শ্রদ্ধেয় বাবাদের উত্তরা পাবলিক লাইব্রেরির পক্ষ থেকে উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর উত্তরা পাবলিক লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান খান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

অ্যাডভোকেট মো. আবু হানিফের সভাপতিত্বে ও আশরাফ-উল-আলম সবুজের সঞ্চালনায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ তাসলিমা বেগমসহ সম্মানিত বাবাদের আত্মীয় স্বজন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসআর/কেএ