কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে কঠোরভাবে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। এর ফলে বেশিরভাগ স্থানে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ দিন সড়কে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের গাড়িবহরও আটকে দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ফুলবাড়িয়ার বঙ্গমার্কেট এলাকায় মেয়র তাপসের গাড়িবহর আটকে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় মেয়রের গাড়িবহরে থাকা পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও তাদের আটকে রাখা হয়।

ঢাবির অমর একুশে হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চানখারপুল ও ফুলবাড়িয়া মোড়ে বেলা ১১টা থেকে বৈষম্যের বিরুদ্ধে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছি। দুপুরের দিকে মেয়র তাপসের গাড়ি এখানে এসে আটকে গেছে। আমরা তাদের অবরোধ ভেঙে পার হতে দেইনি। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলছে ও চলবে।

এদিকে, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করে এ পদ্ধতি সংশোধনের দাবিতে চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম।

তিনি বলেন, আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের ওপর এক মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। স্থায়ী কোনো সমাধান আমরা দেখিনি। আমরা চাই সরকারের নির্বাহী বিভাগ একটি কমিশন গঠন করে কোটার যৌক্তিক সংস্করণ করুক৷ আমরা বলেছি সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত কোটা থাকতে পারে। দাবি মেনে নেওয়া না পর্যন্ত সারা দেশে আন্দোলন চলবে।

এর আগে, বেলা সোয়া ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আন্দোলনের ১০ম দিনে এই কর্মসূচির জন্য জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।

সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ সারাদিন দেশের সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থান অবরোধ করার কথা জানান শিক্ষার্থীরা। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পাশাপাশি হাইওয়ে এবং রেলপথও এই ব্লকেডের আওতায় থাকবে।

কোটা সংস্কারে নতুন ঘোষিত শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি হলো: সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করে এ পদ্ধতি সংশোধন করতে হবে।

কেএইচ/কেএ