চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে রাজধানীর আগারগাঁও মোড় অবরোধ করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা।

এতে মিরপুর-ফার্মগেট এবং মহাখালী-শিশুমেলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দুই রুটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি সেবা, অসুস্থ রোগী ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো পরিবহনকে চলাচল করতে দিচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটক ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় হয়ে আগারগাঁও মোড়ে অবস্থান করে সড়ক অবরোধ করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সংবিধানের মূল কথা, সবার জন্য সমতা’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারাবাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘কোটা না মেধা, আপস না সংগ্রাম, মেধাবীদের কান্না’সহ নানা কোটাবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের গান-কবিতার মাধ্যমেও প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের আজকের কর্মসূচিতে এক দফা এক দাবি। সরকারি চাকরি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিসহ সবকিছুতে সব ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংসদে আইন পাস করতে হবে এবং সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে কোটাকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।

যানজটের কারণে অনেকে যাত্রীরা হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। একাধিক যাত্রী জানিয়েছেন, আন্দোলনে দুর্ভোগ হলেও তারা আন্দোলনকে সমর্থন করছেন। তারাও চান চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার করা উচিত।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ সারাদিন সড়ক অবরোধ করে রাখার কথা জানিয়েছেন।

বাংলা ব্লকেড কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে শেকৃবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রাকিব বলেন, আমাদের আন্দোলন আদালতের বিরুদ্ধে নয়, নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে। আদালত কি রায় দিয়েছে সেটা মুখ্য নয়, আমরা কোটাবিরোধী নই, তবে কোটার সংস্কার চাই। কোটা থাকতে পারে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ। এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা বা আদেশ না আসা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

জেইউ/এসএসএইচ