বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ গ্রেপ্তার হওয়া সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) পাঁচজন কর্মকর্তা কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে । বরখাস্ত হয়েছেন, উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির এবং পিএসসির কর্মচারী ডেসপাস রাইডার খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার রাতে পিএসসি জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পিএসসির চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত বহিষ্কার আদেশে দেখা গেছে, ওই পাঁচজনকে চাকরি আইন অনুসারে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা বিধি অনুসারে খোরপোষ ভাতা পাবেন।

পিএসসি জানিয়েছে, গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রকাশ ও বিতরণের সঙ্গে জড়িত থাকা এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী কর্তৃক অপরাধ সংগঠনের সহায়তা করার অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সচিবালায়ের পাঁচজন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে সিআইডি গ্রেপ্তার করে জেলে আটক রাখা হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন আইন ২০২৩ এর ১১ ও ১৫ ধারা অনুযায়ী পল্টন থানায় ১৫/৩১০ নম্বর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় তাদেরকে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ধারা ৩৯ (২) অনুসারে ৯ জুলাই থেকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ সাতজনকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে নেওয়া হয়। এদিন সৈয়দ আবেদ আলীর ছেলেসহ ১০ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক আজ এ আদেশ দেন। 

আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য সৈয়দ আবেদ আলী, পিএসসির ডেসপাস রাইটার খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম, মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন, ব্যবসায়ী সাইম হোসেন ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিটন সরকারকে আদালতে তোলা হয়েছে।

এনএম/এমএসএ