অনগ্রসর ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিতকরণে কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার(৯ জুলাই) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সভাকক্ষে ‘জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অনগ্রসর অধিকার সুরক্ষা সংক্রান্ত কমিটি এবং দলিত, হিজড়া ও অন্যান্য অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষা সংক্রান্ত থিমেটিক কমিটি’র সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। 

সভায় কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, সম্মানিত সদস্য আমিনুল ইসলাম, কংজরী চৌধুরী, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ড. তানিয়া হক উপস্থিত ছিলেন।

কমিটির সম্মানিত সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিব দ্রং প্রমুখ।

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনগ্রসর, অবহেলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভূমি ও বাসস্থানের অধিকার নিশ্চিতপূর্বক জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে, দলিত জাতিগোষ্ঠীর ভূমি, বাসস্থান, কর্মসংস্থান ও জীবন-জীবিকার বিদ্যমান সমস্যা ও জটিলতা দূর করে টেকসই সমাধানে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও, তাদের সকল রাষ্ট্রীয় ও নাগরিক সুবিধার অভিগম্যতা দ্রুত নিশ্চিত করাও আমাদের কর্তব্য।’

কমিশন চেয়ারম্যান আরও বলেন, কোনো সম্প্রদায়ের পুনর্বাসন নিশ্চিত না করে উচ্ছেদ করা অধিকার হরণের সামিল। সকলের আবাসন নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। মিরনজিল্লা ও সুইপার কলোনিসহ অন্যান্যদের বাসস্থানের অধিকার নিশ্চিতকরণে পদক্ষেপ নিতে হবে।

পাঠ্যবইতে হিজড়াদের বিষয়টি বাদ দেওয়া বিষয়ে তিনি বলেন, সামাজিক সম্পর্ক, প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এবং একইসঙ্গে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত বাস্তবতার কারণে এ বিষয়টিকে সরলীকরণের কোনো অবকাশ নেই। আবার এ ধরনের পদক্ষেপ কোনো চূড়ান্ত সমাধান হিসেবে বিবেচিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই মর্মে কমিশন মনে করে। আপাতত বিষয়টিকে অবদমিত রাখলেও প্রাকৃতিক কারণেই ভবিষ্যতে তা উদ্ভূত হবে। তাই যৌক্তিক কারণেই কমিশন উক্ত সুপারিশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে।

ডিএমপির কমিশনার হাবিবুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, হিজড়া জনগোষ্ঠীর বিষয়ে সমাজের মানুষের ধারণাগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সামাজিক সচেতনতা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নির্মাণে আমাদের সকলের জোড় প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ট্রেনিং ইনস্টিটিউটগুলোর প্রশিক্ষণে বিষয়টি সম্পৃক্ত হলে ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে আসবে। তিনি প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয়ে কর্মকৌশল নির্ধারণে কার্যকর পরামর্শ প্রদান করেন।

জেইউ/এসকেডি