বিসিএসসহ বিভিন্ন সরকারি চাকরির প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর ঢাকায় একটি ছয়তলা বাড়ি ও একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে।

ছয়তলা বাড়িটি পাইকপাড়ায়, শেওড়াপাড়ার ওয়াসা রোডে একটি ৯ তলা ভবনে রয়েছে তিনটি ফ্ল্যাট। এ ছাড়া তার একটি গাড়ি রয়েছে বলেও জানা গেছে।

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গতকাল সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে আবেদ আলী এসব তথ্য জানিয়েছেন। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইডির এক কর্মকর্তা বিষয়টি জানান। তিনি আরও জানান, শেওড়াপাড়ার ৯ তলা একটি ভবনে আবেদ আলীর মোট ৫টি ফ্ল্যাট ছিল। সম্প্রতি তিনি দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেন। ভবনের পঞ্চমতলায় নিজের ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন আবেদ আলী। ভবনের পঞ্চম তলায় তার দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে ও চতুর্থ তলায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, আবেদ আলীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোটা অংকের টাকা রয়েছে। এ ছাড়া তার একটি গাড়ি রয়েছে। বিভিন্ন সময় সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে এসব অর্থ উপার্জন করেছেন আবেদ আলী। এসব অর্থ দিয়ে তিনি যেমন একদিকে বিলাসী জীবনযাপন করতেন, পরিবার নিয়ে তেমনি সামাজিক কাজেও এসব অর্থ ব্যয় করতেন। 

রোববার (৭ জুলাই) রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে সাঁড়াশি অভিযানে নামে সিআইডি। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে অন্যতম আলোচিত হলেন সৈয়দ আবেদ আলী। 

কোনোদিন অসদুপায় অবলম্বন করিনি, গায়ে খেটে ভাগ্য পরিবর্তন করেছি
রোববার রাতে বিসিএসের প্রশ্নফাঁস নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফেসবুকে দেওয়া সৈয়দ আবেদ আলীর কিছু পোস্ট ভাইরাল হয়।  

সেখানে দেখা যায় একটি পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন— আমার জীবনে কোনোদিন অসদুপায় অবলম্বন করিনি। গায়ে খেটে ভাগ্য পরিবর্তন করেছি। 

এমএসি/এনএফ