বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রমাণ হলে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন। 

তিনি বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রমাণ হতে হবে। প্রমাণ হলে যেটি এখন চলমান পরীক্ষা সেই বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। তবে পূর্বের পরীক্ষাগুলো নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে আগারগাঁওয়ে কমিশনের অফিসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সোহরাব হোসাইন বলেন, যে প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়, সেখানে ফাঁস করার সুযোগ খুব কম। তারপরও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। যদি কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, কমিশনের যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী তাদের সাসপেন্ড করা হবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে পরীক্ষাগুলোর কথা বলা হয়েছে ১২ বছরের, আজ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি ওইসব পরীক্ষা নিয়ে। ফলে সেটিই প্রমাণ করে পরীক্ষাগুলো সুষ্ঠু হয়েছে।
 
পিএসসির গাড়িচালক আবেদ আলীর বিষয়ে তিনি বলেন, যে প্রক্রিয়ায় প্রশ্ন নির্ধারণ ও সাপ্লাই করা হয়, সেখানে প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। তবে এ কার্যক্রমের সাথে যেহেতু অনেকেই জড়িত থাকেন, তাই শতভাগ নিশ্চিতভাবেও বলা যায় না।
 
‘যদি কোনো অভিযোগের প্রমাণ মেলে, তাহলে আমার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই প্রশ্ন বানিয়ে ফেসবুকে আপলোড করেন এবং সেটিকে পিএসসির প্রশ্ন দাবি করেন। এখন পর্যন্ত সিআইডি থেকে কোনো প্রতিবেদন পাইনি, তাই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সাসপেন্ড লেটার তৈরি করা হয়নি। গ্রেফতার দেখানোর সাথে সাথেই তাদের সাসপেন্ড লেটার দেওয়া হবে।’ 

সোহরাব হোসাইন বলেন, সব প্রশ্ন যে আউট হয়েছে, এটা তদন্তের আগে আমি বলতে পারব না। হয়েছে এটাও বলতে পারবো না, হয়নি এটাও বলতে পারব না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সামগ্রিক দিক বিবেচনা না করে ১২ বছর আগে যিনি চাকরি পেয়েছেন, তার বিরুদ্ধে যদি কোনো কিছু (অভিযোগ) আসে, সেটা আইন-আদালতের পরামর্শ ছাড়া কারও পক্ষে বলা সম্ভব না। এটা এখনই বলা যাবে না।

এমএইচএন/এনএফ