চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী সায়মা বেগমের ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯১৯ টাকা মূল্যের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (৮ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত এ আদেশ দেন। 

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। 

দুদকের চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুদকের আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার আদালত পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল ও তার স্ত্রীর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন।

অনুসন্ধানে দুদক এডিসি কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৭৩ লাখ ২২ হাজার ৪৪ টাকার আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পায়। এছাড়া তার স্ত্রী সায়মা বেগমের ১ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার ১৮৮ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। গত ১৩ মে প্রধান কার্যালয় বরাবরে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন।

পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হাসান ১৯৮৯ সালে সাব-ইন্সপেক্টর পদে পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন। পদোন্নতি পেয়ে তিনি বর্তমানে অতিরিক্ত এডিসি (ক্রাইম) হিসেবে সিএমপিতে কর্মরত আছেন। 

আদালতের দাখিল করা আবেদনে দুদক কর্মকর্তা মো. এমরান হোসেন উল্লেখ করেন, অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের পর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা তাদের নামে অসাধু উপায়ে অর্জিত সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, বিক্রি বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন মর্মে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়। অবৈধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পত্তির বিষয়ে দ্রুত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে তা বেহাত হয়ে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ (সংশোধনী ২০১৯) এর বিধি ১৮ মোতাবেক বর্ণিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার আবেদন করা হয়।

এমআর/জেডএস