ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) প্রেসিডেন্ট মো. আবদুস সবুর বলেছেন, বেইলি রোড, বনানী, মগবাজার, গাজীপুর এবং পুরাণ ঢাকায় অগ্নি ও বিস্ফোরণের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও নাগরিক সেবা নিশ্চিতে বর্তমান সরকারই বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) আইন প্রণয়ন করেন। সরকার শুধু আইন প্রণয়নই করেননি বরং বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর। অগ্নি ও বিস্ফোরণ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নাগরিক সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় জরুরি।   

সোমবার (৮ জুলাই) রমনায় আইইবির কেমিকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘নগরে অগ্নি ও বিস্ফোরণের ঝুঁকি কমানোর উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইইবির সাধারণ সম্পাদক এস এম মনজুরুল হক মঞ্জু, সাবেক প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুল হুদা, অধ্যাপক ড. মো. শামীম জেড বসুনীয়া, আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নুরুজ্জামান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি ড. আদিল মোহাম্মদ খান প্রমুখ।

আইইবির সাধারণ সম্পাদক এস এম মনজুরুল হক মঞ্জু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময়ই নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ করতে আহ্বান জানান। ওনার আহ্বানে দেশের নাগরিক সমাজ এগিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) আইন অমান্য করে মালিক, ব্যবহারকারী এবং ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানগুলো তাৎক্ষণিক সুবিধা ভোগের সুযোগ পেতে পারে। বিএনবিসি অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় এবং ভবনের চারপাশে ফায়ার সেপারেশনের জন্য ন্যূনতম জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে। নাগরিক সেবা নিশ্চিতকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন রাজউক, সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ওয়াসা, গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগ, বিএসটিআই এবং শিল্প মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় জরুরি। শহরে ওয়ান স্টোপ সার্ভিস চালু করা দরকার। সবচেয়ে বেশি দরকার নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা।

ওএফএ/এমএ