ভবনের নকশা অনুমোদনে খালি জায়গায় গাছ লাগাতে শর্ত যুক্তের নির্দেশ
ভবনের নকশা অনুমোদনে খালি জায়গায় গাছ লাগানোর শর্ত যুক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সোমবার (৮ জুলাই) পূর্বাচলের ১ নম্বর সেক্টরের মেকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ডে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহের (৮-১৪ জুলাই) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
বিজ্ঞাপন
‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’-প্রতিপাদ্য নিয়ে এই বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদযাপন করা হচ্ছে। এ বছর পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বাড়ি করার জন্য রাজউক যেসব শর্তের ভিত্তিতে নকশা অনুমোদন দেয়, সেখানে একটি শর্ত যুক্ত করতে বলেছি- তারা যেন বাড়ির অবশিষ্ট জায়গায় গাছ লাগায়, অন্তত ফুলের বাগান হলেও যেন করে। তাতেও বনায়নের কিছুটা কাজ হবে।
গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, পূর্বাচলে বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে অন্তত ২০ শতাংশে যেন গাছ লাগানো হয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে, ফলদ, বনজ এবং ঔষধি- যেকোনো ধরনের গাছ হতে পারে। একইসঙ্গে নিজেদের খাওয়ার উপযোগী সবজি উৎপাদন করা যেতে পারে। ঘরের বারান্দায়, ছাদে বা বাড়ির আঙিনায় কাঁচামরিচ বা এ ধরনের অনেক কিছু নিজেরা আবাদ করা যায়।
গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হচ্ছে, গাছ লাগানোকে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তর করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বাংলাদেশে অনেক গাছ লাগানো হয়েছে, তবে এক্ষেত্রে ঘাটতিও রয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থার মালিকানা,নিয়ন্ত্রণে যেসব জমি রয়েছে, তার খালি অংশে বৃক্ষরোপণ করা হবে।
তিনি বলেন, আগামী এক বছরে আমরা পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্যরা যারা উপস্থিত আছেন, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
সভাপতির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর, সংস্থায় কর্মরত সবাইকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গাছ লাগাতে বেশি সময় লাগে না, আমরা যেন এটা করতে গিয়ে অফিসের কাজে ফাঁকি না দেই। অফিসের কাজের পাশাপাশি অনায়াসে গাছ লাগানো যায়। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরে নগর কৃষির জনপ্রিয়তা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী ও সচিব ম্যাকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ড চত্বরে খালি জায়গায় একটি করে নারিকেল গাছের চারা রোপণ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান প্রমুখ।
এএসএস/জেডএস