রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি নগর কৃষি বিষয়ক পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সুষ্ঠু নগরায়ণ, জলবায়ু বিপর্যয় রোধ ও বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব গড়ে উঠবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রোববার (৭ জুলাই) হেলথব্রীজ ফাউন্ডেশন অব কানাডা, রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘জলবায়ু বিপর্যয় রোধ ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে নগর কৃষি: শিক্ষার্থীদের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সেখানে বক্তারা বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও অবকাঠামো গড়ে ওঠায় গাছপালার পরিমাণ কমে নগর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতি বছর। নগরকৃষি এক্ষেত্রে একটি সময়োপযোগী সমাধান। বিদ্যালয়গুলোর মাঠে খেলাধুলার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রেখে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে নগর কৃষির সূচনা করা হলে কার্যকরী ফলাফল অর্জন সম্ভব।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেক্ট অ্যান্ড একাডেমিক আহমাদ-আল-মুহাইমিন বলেন, মাটির বাস্তুতন্ত্র এবং জলচক্রে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহারের কারণে মাটির যে ক্ষতি সাধিত হয়, তা আমাদের বিবেচনা করতে হবে। নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য উৎপাদন করার লক্ষ্যে প্রাকৃতিক কম্পোস্টিং এবং পারমাকালচারের মতো ভালো উদাহরণগুলো আমরা অনুসরণ করব। পাখি ও পোকামাকড়ের গুরুত্ব সম্পর্কে জানব। আজকের শিক্ষার্থীরাই বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, আমাদের এ কার্যক্রমের আওতায় রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি নগর কৃষি বিষয়ক পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ কার্যক্রমের আওতায় শিক্ষার্থীদের নিরাপদ কৃষি, কৃষির সঙ্গে জলবায়ুর সম্পর্ক, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে। একজন প্রকৃত কৃষকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। আমাদের বিশ্বাস এ কার্যক্রমটি শিশুদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে।

রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাহাজ্জোত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ এ শিক্ষার্থীদের এমনভাবে শিক্ষিত করার বিষয়ে উৎসাহিত করা হয়েছে যেন তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে। নগর কৃষি বিষয়ে একজন প্রকৃত কৃষকের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষিত করা হলে তারা সরাসরি কৃষি কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থেকে কৃষি পণ্য উৎপাদন করতে পারবে। এতে তাদের বাস্তব জীবনের জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে।

এএসএস/এসএসএইচ