ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন পৌনে দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। অবৈধ সম্পদকে আড়াল করতে ছেলের নামেও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রেখেছিলেন। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি বাগেরহাটের সাবেক রেজিস্ট্রার মো. ফজলার রহমানের। 

রোববার (৭ জুলাই) প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আর ছেলের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেলেও সরাসরি কোনো অনিয়ম না পাওয়ায় তাকে আসামি করা হয়নি।

২০২১ সালের ২১ আগস্ট ফজলার রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরে সংস্থাটির সাবেক সহকারী পরিচালক কমলেশ মন্ডল মামলা দায়ের করেন। আর মামলার তদন্ত করেন সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাসার।

আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ফজলার রহমান তার পোষ্যদের নামে মোট দুই কোটি ৮৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮৯ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ গড়েছেন। আয়কর নথি অনুযায়ী, আসামি ফজলার রহমানের মোট আয় পাওয়া যায় এক কোটি ৪১ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা। তার পারিবারিক ব্যয় পাওয়া যায় ৩৪ লাখ ১১ হাজার ৮২০ টাকা। পারিবারিক ব্যয় বাদে তার নিট আয় এক কোটি সাত লাখ ৬০ হাজার ৪৪৪ টাকা। 

এক্ষেত্রে আসামি ফজলার রহমানের নিজ নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত এক কোটি ৭৫ লাখ ৯৫ হাজার ৯৪৫ টাকার সম্পদ অর্জন ও তা ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় অপরাধ করেছেন। এছাড়া, ফজলার রহমান নিজ পুত্রের নামে অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে তদন্ত বেরিয়ে এসেছে।

আরএম/কেএ